আদালত অবমাননার অভিযোগ আইনজীবী তাজুল ও জামায়াতের আমিরকে শোকজ
আর্ন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায় নিয়ে মন্তব্য করায় জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমদ, শিবিরের সভাপতি আবদুল জব্বার ও জামায়াতের আইনজীবী এ্যাডভোকেট তাজুল ইসলামসহ ৬ জনকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ সোমবার সকালে এ আদেশ দেন।
তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না সে মর্মে জানতে চেয়ে রুলও জারি করা হয়েছে।
আগামী ২৮ জানুয়ারি আদালতে এ রুলের ব্যাখ্যা দিতে আদেশ দেওয়া হয়েছে।
শোকজপ্রাপ্ত অন্য তিনজন হলেন, জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান ও ছাত্র শিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল আতিকুর রহমান।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন এ্যাডভোকেট জিয়াদ আল মালুম। আসামি পক্ষে ছিলেন এ্যাডভোকেট শিশির মোহাম্মদ মনির।
জামায়াত নেতা আজহারের মৃত্যুদণ্ডের রায় দেওয়ার পর এ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশন যে সাক্ষ্য-প্রমাণ দিয়েছে সেটা গ্রহণ না করে ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলা হলেই সুবিচার হতো। এটিএম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে উত্থাপিত সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে ফাঁসি তো দূরের কথা প্রসিকিউশনের জরিমানা করা হলে ভালো হতো।’
তার এ বক্তব্যের পর রাষ্ট্রপক্ষ তাজুল ইসলামসহ জামায়াতের এ সব নেতাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে আবেদন করেন।