শেখ হাসিনার বক্তব্য শুরু
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্য শুরু করেছেন।
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসিবে তিনি বক্তব্য রাখছেন। সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টায় তিনি মঞ্চে ওঠেন।
তবে সমাবেশ শুরুর প্রাক্কালে অদূরে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় অনেকের মাঝে আতঙ্ক দেখা দেয়।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে সোমবার বিকেল পৌনে ৩টার দিকে সোহরাওয়ার্দীতে সমাবেশ শুরু হয়।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাপরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, মতিয়া চৌধুরী, শেখ সেলিম, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাউসার, কৃষক লীগের সভাপতি মো. মোতাহার হোসেন মোল্লা, শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শুক্কুর মাহমুদ, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আশরাফুন্নেছা মোশাররফ, যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তার বক্তব্য রাখেন।
তারা বিএনপির প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, তাদের সহিংস আন্দোলন প্রতিহত করা হবে। রাজপথে থেকে তাদের মোকাবেলা করা হবে। দেশের মাটিতে বিএনপি-জামায়াতের কোনো সহিংস কার্যক্রম চলতে দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তারা।
সমাবেশ শুরুর আগে সোহরাওয়ার্দীর প্রবেশ পথ সংলগ্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান অনুষদের সামনে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। এ নিয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে আতঙ্ক দেখা যায়।
সমাবেশে যোগ দিতে দুপুরথেকেই যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে আসতে থাকেন। তাদের মিছিলের কারণে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে যানজট দেখা যায়। হরতাল আর অবরোধের মধ্যে গাড়ির স্বল্পতায় দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ।
এর আগে, সোমবার সকালে সমাবেশের অনুমতি দেয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। দলটির দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ এমন দাবি করেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এক আদেশে সোমবার সকালে ঢাকায় সভা-সমাবেশের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। ডিএমপির ওয়েবসাইটে এমন তথ্য দেওয়া হয়েছে।