শেরপুরে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যা
শেরপুর সদর উপজেলার মনকন্দা গ্রামে যৌতুকের জন্য স্বামী আনছার আরী ওরফে সরবেশ আলী তার স্ত্রী জাহানারা ওরফে চায়না খাতুনকে (২২) কে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মামলা সূত্রে জানা গেছে শেরপুর সদর উপজেলা লুকাইপাড় গ্রামের আব্দুল খালেকের কন্যা জাহানারা ওরফে চায়না খাতুনকে ৩ বছর পূর্বে একই উপজেলার মনকান্দা গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে আনছার আলী ওরফে সরবেশ আলীর সাথে বিবাহ দেন। বিবাহের পর থেকেই যৌতুকলোভী লম্পট স্বামী যৌতুকের জন্য প্রায় প্রতিদিন স্ত্রীকে শারিরীকভাবে নির্যাতন করত। মেয়ের সুখের কথা চিন্তুা করে পিতা আব্দুল খালেক জামাইকে নগদ ৫০ হাজার টাকা ও পরে ২৫ হাজার টাকার সাংসারিক আসবাবপত্র কিনে দেন। এর পরেও যৌতুকলোভী জামাইয়ের মন খুশি করতে পারেনি গরীব শশুর আব্দুল খালেক। আরও ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দাবী করলে গরীব শশুর যৌতুক দিতে অপারগতা প্রকাশ করিলে গত ১৮ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার জামাই আনসার আলী তার পিতা মজিবুর রহমান, মা হুছনে আরা গং এরা মিলে যৌতুকের জন্য খালেকের কন্যা চায়না খাতুনকে শারিরীকভাবে মারপিট ও নির্যাতন করে হত্যা করে। চায়না খাতুনের জাহাঙ্গীর আলম নামে ২ বছরের এক পুত্র সন্তান আছে। এ ব্যাপরে অসহায় পিতা আব্দুল খালেক বাদী হয়ে শেরপুর সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত) ২০০৩ এর ১১ (ক)/৩০ ধারা যৌতুকের জন্য মারপিট করিয়া হত্যা ও সহায়তা করার অপরাধ আইনে একটি মামলা করেছে। বাদী আব্দুল খালেক কন্যা হত্যার ন্যায় বিচার চেয়ে প্রশাসনের নিকট জোর দাবী জানিয়েছে।