চাষী নজরুলের রাষ্ট্রীয় সম্মান নিয়ে বিভ্রান্তি
গেজেটে নাম না থাকায় মুন্সীগঞ্জে আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রীয় সম্মান পেলেন না চাষী নজরুল ইসলাম। অথচ সোমবার সকালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) দুজন মন্ত্রীর উপস্থিতিতে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়েছে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে চাষী নজরুল ইসলামকে নিয়ে খবরও প্রকাশিত হয়েছে। চাষী নজরুলকে চিরতরে সমাহিত করার পর এ নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা বিভ্রান্তি।
মুন্সীগঞ্জে চাষী নজরুলকে রাষ্ট্রীয় সম্মান না জানানোয় মর্মাহত হয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা। চাষী নজরুলের মেয়ে আন্নি ইসলাম বলেন, ‘আমার বাবার নাম গেজেটে আছে কি নেই সেটা নিয়ে কখনোই ভাবিনি। আমরা তাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবেই জানি।’
আন্নি ইসলাম আরও বলেন, ‘গেজেটে নাম না থাকায় তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান জানানো হয়নি, বিষয়টি খুবই হাস্যকর। তালিকার নাম দিয়ে বিবেচনা করা হচ্ছে চাষী নজরুল ইসলাম মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন কি না? এটা একধরনের ফাইজলামি।’
চাষী নজরুলের মেয়ের এই বক্তব্যকে আগেবপ্রসূত বলে উল্লেখ করেছেন মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল হাসান বাদল। তিনি বলেন, ‘প্রশাসনকে একটা নিয়মের মধ্য দিয়েই চলতে হয়। তাই রাষ্ট্রীয় গেজেটে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে চাষী নজরুল ইসলামের কোন নাম না থাকায় তাকে মুন্সীগঞ্জে আনুষ্ঠানিকভাবে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়নি।’
অন্য কোন নামে তার নাম মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছে কিনা দ্য রিপোর্টের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা অনুসন্ধান করে দেখেছি। কোথাও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে চাষী নজরুল ইসলামের নাম পাওয়া যায়নি। তাই নিয়ম অনুযায়ী তিনি গার্ড অব অনার পাননি।’
এ বিষয়ে ঢাকা জেলা প্রশাসক তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, ‘চাষী নজরুল ইসলামকে একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবেই আমি জানি। আর একজন মুক্তিযোদ্ধাকে গার্ড অব অনার একবারই দেওয়া হয়। ঢাকায় গার্ড অব অনার দেওয়ার পর নিয়ম অনুয়ায়ী মুন্সীগঞ্জে গার্ড অব অনার দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।’