আন্দোলন চূড়ান্ত লক্ষ্যে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জামায়াতের
২০ দলীয় জোট ঘোষিত মিছিল, সমাবেশ ও অবরোধ কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালন অব্যাহত রেখে চলমান আন্দোলন চূড়ান্ত লক্ষ্যে এগিয়ে নেওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান।
এক বিবৃতিতে মঙ্গলবার রাতে তিনি এ আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে শফিকুর রহমান বলেন, ’২০ দলীয় জোট ঘোষিত শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষের সম্পৃক্ততা অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। গোটা দেশ আজ অচল হয়ে পড়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্য, আমদানি-রফতানি স্থবির হয়ে পড়েছে। রাজধানী ঢাকা সারাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সরকার বেপরোয়া হয়ে সারাদেশে জুলুম, নির্যাতন ও গণগ্রেফতার অব্যাহত রেখেছে। আজও অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় গ্রেফতার অভিযান চালিয়ে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী অন্যায়ভাবে জামায়াতে ইসলামীর সিলেট মহানগর আমীর এ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়েরসহ ২০ দলীয় জোটের তিন শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের শান্তিপ্রিয় জনতা, সুশীল সমাজ, শিক্ষাবিদ, ব্যবসায়ী সম্প্রদায় ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ বর্তমান পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে সংলাপের মাধ্যমে সঙ্কট নিরসনের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং মানবাধিকার সংস্থা সরকারের হটকারী ভূমিকা পরিহার করে দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য সরকারকে দ্রুত সংলাপের উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে এবং দ্রুত সকল দলের অংশগ্রহণে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ওপর তাগিদ দিয়েছে। কিন্তু সরকার সে সবের তোয়াক্কা না করে জুলুম নির্যাতন চালিয়ে চলমান গণআন্দোলনকে স্তব্ধ করে দিতে চাচ্ছে।’
জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ যখনই রাজপথে নেমে এসেছে তারা বিজয় না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরে যায়নি। ১৯৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ১৯৬৯-এর গণআন্দোলন, ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং ১৯৯০ সালের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন জনগণের অংশগ্রহণে সফল হয়েছিল। এ আন্দোলনও সফল হবে ইনশাআল্লাহ।’
তিনি দেশের আপামর জনতাকে সরকারের সকল নিপীড়ন উপেক্ষা করে মিছিল, সমাবেশ ও অবরোধ কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালন অব্যাহত রেখে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে আন্দোলনকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এগিয়ে আসার উদাত্ত আহ্বান জানান।
অন্যদিকে, জনগণের মতের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করে সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্যও আহ্বান জানান ডা. শফিকুর।