বাবা পতিতা ভাড়া করতে না পেরে আমাকে ধর্ষণ করতো: ধর্ষিতা এক মেয়ে
অত্যাচারীদের বিরুদ্ধে নারীদের রুখে দাড়ানর আহ্বান জানিয়ে এক নারী সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া তার সাক্ষাৎকারে শৈশবে নিজ বাবার হাতে নিজে কীভাবে নির্যাতিত হতেন, তার রোমহর্ষক কাহিনী তুলে ধরেছেন।
সিলভিয়া প্রেসকট নামের ৪৭ বছর বয়সী ওই নারী জানান, তার বাবা অলিভার গারসাইড একটানা ত্রিশ বছর তাকে আটকে রেখে নির্যাতন চালিয়েছেন।
২০১২ সালে সর্বপ্রথম ৬৮ বছর বয়সী পিশাচ বাবার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানর সাহস পায় সিলভিয়া। তার মামলায় বাবা অলিভারের ৮ বছরের কারাদণ্ড হয় গত বছর।
সংবাদমাধ্যমকে সিলভিয়া জানান, তিনি আশা করেন, নির্যাতিতা নারীরা তার ঘটনা শুনে রুখে দাঁড়ানর সাহস পাবে।
তিনি বলেন, বাবা আমাকে এমন এক বয়সে ধর্ষণ করে, যখন পুলিশের কাছে যাওয়ার সাহস আমার ছিলো না। আর ধীরে ধীরে বাবার অত্যাচার আমার ভেতরটাকে এমনভাবে ভেঙ্গে দেয়, পরবর্তীতে শেষ মানসিক শক্তিটুকুও হারিয়ে ফেলি। তবে শেষ পর্যন্ত আমি খুশি, আমি রেহাই পেয়েছি।
সিলভিয়া বলেন, বাবা প্রথম যেদিন আমাকে ধর্ষণ করে, সেদিন আমাকে চুল ধরে রান্না ঘরে টেনে নিয়ে যায়। আমার বয়স তখন ১৭। আমি খুব ভয় পাচ্ছিলাম। বাবা আমাকে থালাবাসন পরিষ্কার করতে আর ফ্লোর মুছতে বললো।
তিনি বলেন, আমি ১১ বছর বয়স পর্যন্ত দাদীর কাছে থাকতাম। হঠাৎ একদিন বাবা তার সাথে গিয়ে থাকতে বললেন।
সিলভিয়া বলেন, বাবা আমাকে সব পরিষ্কার করতে বলার পর আরো রেগে গেলেন। চিৎকার চেচামেচি করতে করতে একটা সময় তিনি আমাকে ফ্লোরে ফেলে দিলেন। মারতে থাকলেন। এভাবেই অত্যাচারের একটা সময় আমি অনুভব করলাম, তিনি আমাকে শুধু মারছেন না, সেই সাথে আমার ওপর চড়াও হচ্ছেন। কিন্তু আমার কিছু করার ছিল না।
তিনি বলেন, প্রথম যখন আমি নির্যাতনের শিকার হলাম, তখনো আমি বুঝতে পারিনি, কতটা খারাপ সময় আসতে যাচ্ছে সামনে।
তবে সিলভিয়া এখন সুখী জীবনযাপন করছেন। তবে তার স্বামী পল (৫২) সিলভিয়া কোর্টে যাওয়ার আগ পর্যন্ত এই নির্যাতনের কথা জানতোই না। কিন্তু যখন সে জানলো, সে সিলভিয়াকে শুধু সমর্থনই জানালো না, সেই সাথে সহযোদ্ধাও বনে গেল।
সবশেষে সিলভিয়া বলেন, বাবার সাজা হওয়ার পর আমার নিজেকে হালকা মনে হয়। মনে হয়, বুকের ভেতর থেকে একটা পাথর নেমে গেছে।
সূত্র: ডেইলি মেইল