ভালুকায় ছাত্রলীগ-শ্রমিক লীগ সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ১১

Mymensingh valukaআধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলার ভালুকায় ছাত্রলীগ ও শ্রমিক লীগের মধ্যে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া, সংঘর্ষ ও গোলাগুলি হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ছয় রাউন্ড শটগানের গুলি ছোড়ে।
ধাওয়া পাল্টাধাওয়া ও সংষর্ষে উপজেলা ছাত্রলীগের সেক্রেটারি শাতিলসহ আহত হয়েছেন কমপেক্ষ ১৫ জন। তাদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ ১১ জনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ডা. এম আমানউল্লাহ এমপির ভাতিজা আঞ্চলিক শ্রমিক লীগ সভাপতি অলির ও রওনক রব্বানী খাজার সঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগ সেক্রেটারি ও উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা গ্রুপের ছাত্রলীগ সেক্রেটারি শাতিলের বিরোধ চলছিল। বুধবার রাতে ছাত্রলীগ শাতিল গ্রুপের এক কর্মীকে শ্রমিক লীগের ওলি ও খাজা মারধর করায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে দু’গ্রুপের মধ্যে। এ সময় স্থানীয় বৈশাখী রেস্টুরেন্ট ভাঙচুর করা হয়।
এ নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফার ভাতিজা ওলি ও খাজাকে আপোস-মীমাংসার জন্য বললে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে অসদাচরণ করেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ছাত্রলীগ সেক্রেটারি শাতিল গ্রুপ ও শ্রমিক লীগের ওলি-খাজা গ্রুপের নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থান নেন। দুপুর আড়াইটার দিকে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। উভয়পক্ষই কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সারোয়ার জানান, ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ এড়াতে ছয় রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়েছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend