দেশের ক্ষতিতে খালেদা জিয়ার কিছু আসে যায় না : মতিয়া চৌধুরী
বিএনপি প্রধান বেগম খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানের কার্যকলাপের কঠোর সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, খালেদা জিয়া বাংলাদেশ চাননি। মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বামী জিয়াউর রহমানের আহবান উপেক্ষা করে তিনি পাকিস্তানী জেনারেল জানজুয়ার তত্ত্বাবধানে ছিলেন। কাজেই বাংলাদেশের ক্ষতি হলে তার কিছু আসে যায় না। তিনি ১৫ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার শেরপুরের নকলা উপজেলার পাঠাকাটা হাইস্কুল মাঠে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণকালে ওই কথা বলেন।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, ছেলেকে সন্ত্রাসী বানিয়ে ধ্বংসের রানী সেজে দেশে জ্বালাও-পোড়াও চালিয়ে তিনি এখন জালেমের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। তারেকের পরামর্শক সাদীকে ছিনতাইকারী, চোর, বদমাশ ও জালিয়াত উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২৮ মামলার দাগী আসামী ৬ মামলায় জেলখাটা সেই সাদী হচ্ছে তারেকের উপদেষ্টা। যেমন লাউ তেমন দরবেশ। তাকে দিয়ে তারেক আমেরিকার ৬ কংগ্রেসম্যানের স্বাক্ষর জাল করায়। সেই ভূয়া বিবৃতি ৪/৫ দিন প্রচারের পর ধরা পরে গিয়ে এখন খালেদা জিয়া তাকে বহিস্কারের নাটক সাজিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, শেখ রেহানার সন্তান টিউলিপ এবং খালেদা জিয়ার সন্তান তারেক রহমান ও কোকোর তুলনামূলক অবস্থান তুলে ধরে মতিয়া চৌধুরী বলেন, জয় হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ ডিগ্রী নিয়ে দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরে সহায়তা দিচ্ছেন, পুতুল সর্বোচ্চ ডিগ্রী নিয়ে দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিশ্বে অটিজম নিয়ে কাজ করছেন। আর টিউলিপ ব্রিটিশ পার্লামেন্টে লেবার পার্টির মনোনয়নে এমপি হয়েছেন। অন্যদিকে দুর্নীতির বোঝা মাথায় নিয়ে চিকিৎসার নামে তারেক রহমান ও কোকো বিদেশে বসে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছে। তারা এখন ফেরারী আসামী।
তিনি বলেন, সঠিক শিক্ষা না দিয়ে কু-সন্তান জন্ম দিয়েছেন খালেদা। আর শেখ হাসিনা সঠিক শিক্ষা দিয়ে শিক্ষিত ও মানুষ করে গড়ে তুলেছেন নিজের সন্তানদের। তিনি শিক্ষার্থীদের সুশিক্ষা নিয়ে আলোকিত মানুষ হওয়ার পরামর্শ দেন। একই সাথে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মজলুমের নেতা হিসেবে অভিহিত করে দেশবিরোধী যেকোন ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে সকলের প্রতি আহবান জানান।
এদিন কৃষিমন্ত্রী উপজেলার গণপদ্দী, বানেশ্বর্দী, চন্দ্রকোণা, চরঅষ্টধর পাঠাকাটা ও টালকী ইউনিয়নের ৩০টি বেসরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম ও নবম শ্রেণীর মেধাবী ২০ জন করে শিক্ষার্থীকে তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ১টি করে কম্বল ও সোয়েটার প্রদান করেন। এসময় তার সাথে শেরপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাকীর হোসেন, পুলিশ সুপার মো. মেহেদুল করিম, খামারবাড়ীর উপ-পরিচালক কৃষিবিদ ড. আব্দুস সালাম, নকলা ইউএনও আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমানসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা ও দলীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।