খালেদার গুলশান কার্যালয়ে মশায় অতিষ্ঠ পুলিশ ও সংবাদকর্মীরা
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া গত ১৩ দিন ধরে গুলশান কার্যালয়ে অবরুদ্ধ আছেন। চেয়ারপারসনের নিরাপত্তার দায়িত্বে সেখানে রয়েছে পুলিশ ও র্যাব। পাশাপাশি সংবাদ সংগ্রহে দিন-রাত ব্যস্ত থাকছেন বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীরা। তবে রাত হলেই বাড়ে মশার উপদ্রব।
মশার কামড়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন পুলিশ ও সংবাদকর্মীরা। সেখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত এক পুলিশ সদস্য ক্ষিপ্ত হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে বলেন, ‘পুলিশ, সাংবাদিক ও আর মশারা পাহারা দিচ্ছে খালেদা জিয়াকে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের এ সদস্য বলেন, ‘গত ২৬ বছর ধরে এ বাহিনীতে কাজ করছি। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনসহ রাজপথের বহু আন্দোলন দেখেছি। এবারের যে আন্দোলন দেখছি, তা স্রেফ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। দুই নেত্রীর মধ্যে ছাড় দেওয়ার কোনো চিন্তা-ভাবনা নেই। এরশাদ যখন দেখেছে দেশে অস্থিতিশীলতা চরমে তখনই তিনি ক্ষমতা ছেড়ে দেন। অথচ এখন এত নৈরাজ্যের মধ্যে বর্তমান সরকারপ্রধান ক্ষমতা ছাড়া তো দূরের কথা আলোচনাই বসতে চাইছেন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি নেত্রী কার্যালয়ে বসে বসে দৈববাণী ছাড়ছেন। যে বাণীর কারণে পুড়ছে সাধারণ মানুষ। দগ্ধ হচ্ছে শিশু। এটা কোন ধরনের রাজনীতি?’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আর এক পুলিশ সদস্য বলেন, ‘গত ১৩ দিন ধরে এখানে দায়িত্ব পালন করছি। ৮ ঘণ্টার জায়গায় ১২-১৩ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করছি। বাড়তি পরিশ্রমের জন্য কোনো অর্থ তো পাচ্ছিই না উল্টো প্রতিনিয়তই ঊধ্বর্তন কর্মকর্তার ধমক খাচ্ছি।’
খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে পর্যায়ক্রমে দায়িত্ব পালন করছেন পুলিশের ১৫ নারী সদস্য।
পুলিশের এক নারী সদস্য বলেন, ‘বেগম জিয়া ভালই আছেন। আর প্রধানমন্ত্রীও বেশ আছেন। কিন্তু আমরা মশার কামড় খেয়ে ডিউটি করছি। এখানে বাথরুমে যেতে কষ্ট হয়। তারপরও চাকরির খাতিরে ডিউটি করছি।’