খালেদার দেওয়া খাবার খাচ্ছেন পাহারাদার পুলিশ
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দেওয়া খাবার ও পানি খাচ্ছেন গুলশান কার্যালয়ে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখার দায়িত্বে থাকা পুলিশবাহিনীর সদস্যরা। শুধু তাই নয়, রাতের বেলা পুলিশ সদস্যদের চায়ের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে গুলশান কার্যালয়ের ভেতর থেকে।
গুলশান কার্যালয়ের সামনে মঙ্গলবার রাতে সরেজমিন এ দৃশ্য চোখে পড়ে। আর পুলিশ সদস্যদের খাবার খাওয়ানোর বিষয়টি স্বীকারও করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার।
তিনি বলেন, ‘ম্যাডামকে (খালেদা জিয়া) অবরুদ্ধ করার পর থেকে প্রতিদিনই নেতাকর্মীরা বিশেষ করে মহিলা দলের নেত্রীরা এখানে খাবার নিয়ে আসেন। এ সবের মধ্যে শুকনো খাবারের পাশাপাশি রান্না করা খাবারও থাকে।’
দিদার আরও বলেন, ‘প্রতিদিন যে পরিমাণ খাবার গুলশান কার্যালয়ে আসে, তা ভেতরে যারা অবরুদ্ধ ম্যাডামের সঙ্গে আছেন তাদের সবটুকু লাগে না। ভেতরে যতটুকু লাগে, ঠিক ততটুকুই রেখে বাকি খাবার বাইরে সবাইকে বিলিয়ে দেওয়া হয়। কারণ এটা না করলে খাবারগুলো নষ্ট হবে।’
বুধবার রাতে গুলশান কার্যালয়ে সরেজমিন দেখা গেছে, রাত সাড়ে ১১টার দিকে গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য প্রথমে খাবার আসে কার্যালয়ের ভেতর থেকে। খাবার নিয়ে আসেন বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার ও শায়রুল কবির খান।
গণমাধ্যমকর্মীদের পর কার্যালয়ের প্রবেশমুখে বসে থাকা পুলিশ সদস্য ও কর্মকর্তাদের জন্য খাবার পাঠানো হয় কার্যালয়ের ভেতর থেকে। আসে খাবার পানির বোতলও।
রাত যত বাড়তে থাকে গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতি ততো কমতে থাকে। এরপর রাত ২টার দিকে পুলিশ সদস্যদের জন্য চা পাঠানো হয় কার্যালয়ের ভেতর থেকে।
রাতের বেলা পুলিশের অনেক কর্মকর্তাদের খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের ভেতরেও প্রবেশ করতে দেখা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সেখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য কোনো টয়লেট বা শৌচাগার নেই। অবরুদ্ধ এলাকার মধ্যে খালেদা জিয়ার কার্যালয় থেকে কিছু দূরে রাস্তার পশ্চিম পাশে গুলশান মডেল স্কুল ও কলেজ আছে। সেখানে মূল গেটের বাইরে আলাদা একটি গণশৌচাগার আছে। অত্যন্ত নোংরা ও ময়লা-আবর্জনায় ভরা সেই শৌচাগারে যাওয়া ছাড়া কারও কোনো উপায় নেই। নিতান্ত বাধ্য হয়ে অনেককেই সেখানে যেতে দেখা যায়।