ফরমালিনের অপব্যবহারে যাবজ্জীবন
ক্ষতিকর ফরমালিন ব্যবহারের ওপর কঠোর নির্দেশনা জারি করতে পাস হতে যাচ্ছে ফরামিলন নিয়ন্ত্রণ বিল-২০১৪।
গত বছরের ১ জুলাই মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিলটির খসড়া অনুমোদন দেওয়ার পর এবার খসড়া বিলটি আইনে পরিণত করতে জাতীয় সংসদে পাঠানো হয়েছে। আগামী অধিবেশনেই বিলটি পাস হতে পারে।
জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের আইন শাখা হতে জানা গেছে, দশম জাতীয় সংসদের পঞ্চম অধিবেশনে এ পযর্ন্ত ৯টি বিল উত্থাপনের জন্য কার্যতালিকায় লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। এর মধ্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি বিল-২০১৪ (বিশেষ সংশোধন) পাসের তালিকায় রাখা হয়েছে। এছাড়া, পাস হচ্ছে মেট্রোরেল বিল-২০১৪।
সংসদীয় কমিটিতে পাঠানোর জন্য রাখা হয়েছে ফরমালিন নিয়ন্ত্রণ বিল-২০১৪।
একইসঙ্গে ফাইন্যান্স করপোরেশন বিল-২০১৪, বাংলাদেশ ওশিয়ানোগ্রাফি রিসার্চ ইনস্টিটিউট বিল, দি ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ অর্ডার বিল-২০১৪ (সংশোধন) কার্যতালিকায় লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।
মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত ফরমালিন নিয়ন্ত্রণ বিলে বলা হয়েছে, ফরমালিনের অপব্যবহারে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। এছাড়া, লাইসেন্স প্রদানের ক্ষেত্রে শর্ত ভঙ্গ করলেই সাত বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, পাস হতে যাওয়া আইনে ফরমালিন নিয়ন্ত্রণের বিধান রয়েছে, ফরমালিন ব্যবহারের উপর কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়নি। তবে লাইসেন্স ছাড়া এর উত্পাদন, আমদানি, পরিবহন, মজুদ, বিক্রি ও ব্যবহার রোধে কঠোর শাস্তির প্রস্তাব করা হয়েছে।
খসড়া আইনে ফরমালিন উত্পাদনে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি অবৈধভাবে রাখার জন্য ২-১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড ও ৫-২০ লাখ টাকা পর্যন্ত শাস্তির বিধান রয়েছে।
এছাড়া, অবৈধভাবে ফরমালিন মজুদের জন্য ২ থেকে ৭ বছর কারাদণ্ড ও সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা জরিমানার প্রস্তাব করা হয়েছে। আইনে এ ধরনের অপরাধ ধর্তব্য এবং জামিন অযোগ্য বলে গণ্য হবে এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতকে বিচারের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। আইনটি বাস্তবায়নে প্রতি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ‘ফরমালিন নিয়ন্ত্রণ কমিটি’ গঠন করা হবে।
বিলটি সংসদীয় কমিটিতে পাঠানোর পরে অধিকতর যাচাই-বাছাই শেষে উত্থাপন করা হবে। শীতকালীন অধিবেশনেই এটি পাস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে।