ঝিনাইদহে নির্যাতনের শিকার স্বামী, স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের!
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ:
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে স্ত্রী নির্যাতনে শিকার হয়ে বাচ্চু মিয়া নামের এক যুবক দেউলিয়া হয়ে পড়েছে। মানসিক ও অর্থনৈতিকভাবে নির্যাতনের শিকার বাচ্চু মিয়া বিচারের দাবিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ তার মামলা নেয় নি। অবশেষে আদালতের স্মরনাপন্ন হলেও স্ত্রী পরিবারের আতœীয়-স্বজন তাকে মামলা তুলে নেবার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি দামকি দিচ্ছে। প্রাপ্ত অভিযোগে জানাগেছে, ২০০৬ সালের ২৯ এপ্রিল ঝিনাইদহ শৈলকুপা উপজেলার ভাটই দক্ষিণপাড়া গ্রামের খিলাফত মল্লিকের মেয়ে ডলি খাতুনের সাথে বাচ্চুর বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। এরপর থেকে স্ত্রী বাচ্চুর সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে খারাপ আচরণ শুরু করে। বিভিন্ন সময় তাকে মানসিকভাবে নির্যাতন চালাতে থাকে। সম্প্রতি বাচ্চু মিয়ার স্ত্রী ডলি খাতুন তার পিতা খিলাফত মলি¬ককে বাড়ির ছাদ দেবার জন্য ৫০ হাজার টাকা ধার দিতে বলে। গত ১৬ ডিসেম্বর’২০১৪ ইং তারিখে বাচ্চু টাকা ধার দিতে অস্বীকার করলে তার স্ত্রী ডলি খাতুন ও শ্বাশুড়ী নিফুফা পারভীন বাচ্চুর সাথে খারাপ ব্যবহার করে। এক পর্যায়ে বাচ্চু তার দোকানে চলে গেলে মোকামের জন্য বাড়িতে রাখা ৫৫ হাজার টাকা, একটি স্বর্ণের চেইন ও কিছু গুরুত্বপূর্ণ মালামাল চুরি করে নিয়ে যায় স্ত্রী ডলি খাতুন ও শ্বাশুড়ী নিলুফা পারভিন। এতই তারা ক্ষান্ত হয়নি। বাপের বাড়িতে যেয়ে স্ত্রী ডলি স্বামী বাচ্চুর বিরুদ্ধে একটি যৌতুক মামলা দায়ের করে। অসহায় বাচ্চু বিষয়টি বিভিন্ন ব্যক্তিকে জানায়। বিচারের দাবিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়ায়। থানায় জিডি করতে যায় কিন্তু থানা পুলিশও তার জিডি নেয়নি। অবশেষে বাচ্চু আদালতে স্ত্রীর বিরুদ্ধে টাকা ও স্বর্ণের চেইন চুরির মামলা করেন। কিন্তু মামলা দায়েরের পর বাচ্চুকে স্ত্রীর পরিবারের আতœীয়-স্বজনরা বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। স্ত্রী তার টাকা চুরি করে নেয়ার বাচ্চুর দোকানের ব্যবসা-বানিজ্য হারিয়ে দেউলিয়া হয়ে পড়েছে।