কূটনীতিকদের বৈঠক নিয়ে ‘ভাবছে’ না আওয়ামী লীগ
বিএনপির শীর্ষনেতাদের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের বৈঠক নিয়ে ভাবছে না আওয়ামী লীগ। দলটি মনে করছে, কূটনীতিকরা সামাজিক কারণে বিভিন্ন জনের বাসায় যেতেই পারে। বিএনপি কূটনীতিকদের সহানুভূতি পাওয়ার জন্য চক্রান্ত করছে। কিন্তু কূটনীতিকরা জানে বিএনপি সন্ত্রাসী ও জঙ্গি দল।
শুক্রবার বিকেলে ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে এভাবে প্রতিক্রিয়া জানান আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ। বিএনপির নেতাদের সংলাপের প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করে হানিফ বলেন, ‘বিএনপি একটি নষ্ট ও জঙ্গি দল হিসেবে চিহ্নিত। এই নষ্ট রাজনীতি থেকে বিএনপিকে আগে বেরিয়ে আসতে হবে। তারপর তারা শুধু নয়, সকল দলই তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ভোগ করবে।’
কূটনীতিকরা সংলাপের উদ্যোগ নিলে আওয়ামী লীগের অবস্থান কী হবে এমন প্রশ্নের উত্তরে হানিফ বলেন, ‘খালেদা এখন ভয়ঙ্কর উন্মাদ হয়ে গেছে। এ জন্য নিজের দলের লোকদেরকেও হত্যা করতে তারা কুণ্ঠাবোধ করছে না। রিয়াজ রহমানের ওপর হামলা তারই অংশ। আমরা রিয়াজ রহমানের ওপর হামলাসহ সকল হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। দোষীদের গ্রেফতারের নির্দেশও দিয়েছি।’
বিএনপির সঙ্গে কূটনীতিকদের বৈঠকের বিষয়ে বলেন, ‘কূটনীতিকরাও তো সামাজিক প্রোগ্রামে যেতেই পারেন। এ সব নিয়ে আমরা ভাবছি না।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খানের বাসভবনে বৃহস্পতিবার রাতে আটটি দেশের কূটনীতিকরা বৈঠক করেন।
মাহবুব-উল আলম হানিফ বিজিবি প্রধানের বক্তব্যের সূত্র ধরে বলেন, ‘‘বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য একটি প্রেস নোট পাঠিয়েছে। প্রেস নোটটি মজার ও হাস্যকর। বিএনপি বলেছে, ‘সরকার গাড়ি পোড়াচ্ছে।’ সরকারই যদি গাড়ি পোড়াবে তাহলে বিএনপির এত মাথা ব্যথা কেন। আমরা বিজিবির বক্তব্যকে স্বাগত ও সাধুবাদ জানাই।’
তিনি বলেন, ‘সারাদেশে যে নাশকতা হচ্ছে তা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের নির্দেশেই হচ্ছে। এ জন্য আপনাদেরও বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে। যাদের নির্দেশে এ ঘটনা ঘটছে তাদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য এনামুল হক শামীম, এস এম কামাল প্রমুখ।