বাংলাদেশে আরেকটি রোমাঞ্চকর ফুটবল আসর
ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে বাংলাদেশে একটি ফ্রাঞ্চাইজিভিত্তিক রোমাঞ্চকর ফুটবল আসর আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে (বাফুফে) আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দিয়েছিল ভারতীয় ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি সেলিব্রেটি ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ। প্রস্তাবনা অনুযায়ী টুর্নামেন্টের নাম হবে ‘বাংলাদেশ সুপার সকার।’ শুক্রবার সেলিব্রেটি ম্যানেজমেন্ট গ্রুপের (সিএমজি) নির্বাহী পরিচালক ভাস্বর গোস্বামী জানিয়েছেন, ‘বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সম্মতি পেলে এ বছরের শেষদিকে টুর্নামেন্টটি আয়োজন করতে চায় সেলিব্রেটি ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ।’
বাফুফে সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিনের সঙ্গে শুক্রবার বৈঠক করেছে সিএমজির ৩ সদস্য। বৈঠক শেষে ভাস্বর গোস্বামী বলেছেন, ‘বাফুফে সভাপতির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে- সময়টা কখন হওয়া উচিত, ম্যারাডোনাকে কবে নিয়ে আসা যায় এ সব বিষয় নিয়ে। এই টুর্নামেন্টের জন্য অবকাঠামোগত সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বাফুফে সভাপতি। টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে হলে ১২ সপ্তাহের একটি শিডিউল বাফুফেকে বের করে দিতে হবে। মূলত এ সব বিষয় নিয়েই আলোচনা হয়েছে।’
তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘প্রথম আমরা শুরু করতে চাইছি ম্যারাডোনাকে দিয়েই। তিনি নিজে আসবেন। এসে এখানে অফিসিয়ালি টুর্নামেন্টটি শুরু করবেন। তারপর থেকেই সবকিছু শুরু হবে- ফ্রাঞ্চাইজি নির্বাচন, স্পন্সরশিপ, টেলিভিশন নির্বাচন ইত্যাদি।’
এই টুর্নামেন্ট সম্পর্কে গোস্বামী বলেছেন, ‘বিশ্বের প্রায় ৭০টি দেশের ফুটবলপ্রেমী বাংলাদেশের এই আয়োজনে সম্পৃক্ত হতে পারে। কারণ পৃথিবীর ৬০-৭০টি দেশের ফুটবলাররা এখানে খেলার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে সে সব দেশের টিভি চ্যানেলগুলোতে এই আয়োজন বিক্রি করা সম্ভব। আমাদের প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আমি বলতে পারি এই লিগ আয়োজিত হলে পেশাদারিত্বের দিক থেকে এটি হবে একটি রোমাঞ্চকর লিগ।’
সিএমজি জানিয়েছে, ব্রাজিলের বিখ্যাত ফ্ল্যামেঙ্গো ক্লাব এই আসরের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে সম্মতি দিয়েছে। তারা হবে এই আসরের পার্টনার ক্লাব। কিংবদন্তি ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার জিকোর নামের সঙ্গে ক্লাবটি পুরোপুরি জড়িত। তবে তারা এই লিগে খেলবে না। বিদেশী খেলোয়াড় এবং বিদেশী কোচ সরবরাহ করবে। ২০১০ সালের আর্জেন্টিনার তৎকালীন অধিনায়ক জুয়ান পাবলো সোরিন এই লিগের মেন্টর হতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
বাফুফে তিন কোটি টাকা পাবে এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করলে। বাফুফে সভাপতির মূল কথা হলো, সব ঠিক আছে। ফ্রাঞ্চাইজিগুলো কিভাবে লাভবান হতে পারে এ ব্যাপারে গোস্বামী বলেছেন, ‘পৃথিবীর যে কোনো ফ্রাঞ্চাইজি লিগ হচ্ছে একটি ব্যবসায়িক বিনিয়োগের স্থান। ফ্রাঞ্চাইজি সেখানে টাকা খরচ করে না, বিনিয়োগ করে এবং টাকা ফেরত পায়। আমাদের ফ্রাঞ্চাইজি মডেল এমনভাবে তৈরি করা হচ্ছে, যাতে প্রথম বছর থেকে সবাই লাভবান হতে পারে।’