তারেককে ফিরিয়ে আনতে যুক্তরাজ্যকে চিঠি দিচ্ছে বাংলাদেশ
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে যুক্তরাজ্য সরকারকে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। যুক্তরাজ্যে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল হান্নানকে গত বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সংক্রান্ত চিঠিটি দিয়েছে। তিনি বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ডের কাছে চিঠিটি পৌঁছে দেবেন।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম শুক্রবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ মিশনের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান চিঠিটি পেয়ে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছে সময় চেয়েছেন। আজ-কালের মধ্যে যুক্তরাজ্য সরকার চিঠিটি পেয়ে যাবে।
পরাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক শুক্রবার রাত নয়টা ৫০ মিনিটে বলেন, ‘তারেক রহমানকে ফেরত চেয়ে যুক্তরাজ্য সরকারের কাছে চিঠিটি গত বৃহস্পতিবার পাঠানো হয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত যুক্তরাজ্য সরকারের হাতে চিঠিটি পৌঁছানোর প্রক্রিয়ায় আছে। এখনো হয়তো পৌঁছেনি, কেননা যুক্তরাজ্যের সরকারের কাছে চিঠিটি পৌঁছলে আমি জানতাম।’
জানা গেছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী স্বাক্ষরিত চিঠিতে তারেক রহমানকে পলাতক এবং বিভিন্ন মামলার গুরুত্বপূর্ণ আসামি উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ২০০৮ সালে বিভিন্ন মামলায় জামিনে থাকা অবস্থায় তারেক রহমান চিকিৎসার জন্য মুচলেকা দিয়ে যুক্তরাজ্য যান। এরপর থেকে তিনি সপরিবারে সেখানে বসবাস করছেন। আইনের চোখে তিনি একজন পলাতক আসামি।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, তারেক রহমান যুক্তরাজ্যে বিভিন্ন উস্কানিমূলক বক্তৃতা ও বিবৃতি দিয়ে বাংলাদেশে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। তিনি জাতির জনককে ব্যঙ্গ করে এবং ইতিহাস বিবৃত করে ধারাবাহিকভাবে বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। তারেক রহমান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ২০০৪ সালে হত্যার চেষ্টা করেন। হত্যা চেষ্টার মামলাটি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন।