২৪ ঘণ্টায় রৌমারীতে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত অর্ধশত শিশু
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় হঠাৎ করেই শিশু ডায়রিয়া রোগ দেখা দিয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় অর্ধশত শিশু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা গ্রহণ করেছে বলে জানা গেছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দিনে গরম এবং রাতে ঠাণ্ডার কারণে শিশুদের মাঝে ডায়রিয়া রোগ দেখা দিয়েছে বলে আশঙ্কা করেছেন। একদিন হঠাৎ করেই গরম আবার পরদিন শৈত্য প্রবাহ এবং সূর্যের মুখই দেখা পাওয়া যায় না। আবহাওয়ার ওই উদ্ভুদ আচরণে শিশুদের মাঝে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগ দেখা দিচ্ছে।
আজ শুক্রবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশু ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত ১৩ জন শিশু ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পাওয়া গেছে। আবার অনেক শিশু চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে গেছে। উপজেলার বন্দবেড় গ্রামের দিনমজুর মিজানুর রহমানের এক মাসের শিশু খাদিজা খাতুন, শৌলমারী গ্রামের শফিয়ার রহমানের ৯ মাসের পুত্র আবির হোসেন, চেংটাপাড়া গ্রামের আব্দুল বাতেনের এক মাসের পুত্র সিয়াম হোসেন, ধর্মপুর গ্রামের জসিম উদ্দিনের রবিউল ইসলাম (১ বছর), কাজাইকাটা চরের জাকির হোসেনের তিন মাসের পুত্র লাম ইয়া, বাগুয়ার চরের আবুল হাশেমের দেড় বছরের পুত্র রাকিব হাসান, বালুর গ্রামের কেরামত উল্লাহর ৮ মাসের পুত্র আল মাহমুদ, পূর্ব উছাকুরি গ্রামের আমিনুর রহমানের ১১ মাসের পুত্র মোস্তাকিন আহমেদ, ধনারচর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ৮ মাসের পুত্র রাব্বি হাসান, নতুন বন্দর গ্রামের আব্দুর রহমানের ৯ মাসের পুত্র মনির হোসেন, নতুন বন্দর গ্রামের ফুলমিয়ার ৯ মাসের কন্যা সুলতানা খাতুন চিকিৎসাধীন ছিল। এছাড়াও আরো অনেক শিশু এদিন হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করেছে বলে জানা গেছে।
এদিকে শিশুদের মাঝে হঠাৎ ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া দেখা দেওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে অভিভাবকরা। শিশুকে নিয়ে হাসপাতালে আছেন দিনমজুর মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, বাচ্চার চিকিৎসায় এক দিনেই ৫০০ ট্যাহা চলি গেল। জসিম উদ্দিন নামের আরেক অভিভাবক বলেন, ডাক্তারের কতা মতো ওষুধ সেলাইন কিনছি, কিন্তু বাচ্চা আমার ভালা অবার নাগছে না।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ফজলুল হক শুভ জানান, অসচেতনতার কারণে শিশুদের মাঝে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া দেখা দিয়েছে। কেননা শীত মৌসুমে শিশুদের মাঝে সবচেয়ে বেশি হয় নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া। এজন্য শিশুদের নিয়ে তাদের বাবা-মাকে খুব সর্তক থাকতে হবে। কোনো কারণেই যেন শিশুর ঠাণ্ডা না লাগে।