খালেদার জন্মই আজন্ম পাপ : শাজাহান খান
নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বেগম জিয়া ও তারেক রহমান উন্মাদ। খালেদা জিয়ার জন্মই আজন্ম পাপ। বর্তমান বাংলাদেশের ঘসেটি বেগম তিনি।’
নারায়ণগঞ্জ বন্দরের সোনাকান্দা ডকইয়ার্ডে বিআইডব্লিউটিসির জন্য রো-রো ফেরি কেরামত আলীর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শাহাজাহান খান এ সব কথা বলেন।
খালেদা জিয়াকে মিথ্যাবাদী উল্লেখ করে নৌমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ছয় কংগ্রেসম্যান খালেদা জিয়ার পক্ষে সরকারকে চিঠি দিয়েছে। যখন কংগ্রেসম্যানরা বিষয়টি অস্বীকার করল, তখন খালেদা জিয়ার মিথ্যাচার প্রমাণিত হয়েছে। বিজেপি সভাপতির ফোনালাপ বিষয়েও তিনি মিথ্যাচার করেছেন। উনি একজন মিথ্যাবাদী। উনার জন্মতারিখ নিয়েও উনি মিথ্যাচার করে জন্মকে বিতর্কিত করেছেন। উনার জন্মই আজন্ম পাপ।’
শাজাহান খান বলেন, ‘দেশে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পেয়েছে, রেমিটেন্স বৃদ্ধি পেয়েছে, মূল্যস্ফীতি কমে এসেছে- দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার এত গাত্রদাহ কেন। উনি ক্ষমতায় থেকে লুটপাট করেছেন উনার ছেলে তারেক রহমান ও কোকো বিদেশে টাকা পাচার করেছে। উনি এমন একজন মানুষ যিনি প্রধানমন্ত্রী থেকে নিজে এবং উনার সরকারের অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান কালো টাকা সাদা করেছেন। এতেই প্রমাণ হয় উনারা ক্ষমতায় থেকে লুটপাট করেছেন।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘তারেক রহমানের ২১ কোটি টাকা বিদেশ থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে সেটা তিনি (খালেদা) কিন্তু অস্বীকার করেননি যে এটা তারেক রহমানের টাকা নয়। এখন তারা ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন। আবারও ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য উনারা গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নামে পরাজিত শক্তি পাকিস্তানের পক্ষ হয়ে কাজ করছেন। রাতের আঁধারে জামায়াত-শিবিরের ক্যাডারদের সঙ্গে নিয়ে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারছেন। যেখানে পাকিস্তান স্বীকার করে জামায়াত এখনও তাদের আস্থাভাজন।’
সোনাকান্দা ডকইয়ার্ড এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর খুরশীদ মালিকের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নারায়ণগঞ্জ ৫ (শহর-বন্দর) আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোজাম্মেল হক খান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ছিদ্দিুকর রহমান, জেলা পুলিশ সুপার ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) সাজ্জাদুর রহমান, বন্দর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিনারা নাজনীন প্রমুখ।