‘পেট্রোলবোমা নিক্ষেপকারীদের হাত পুড়িয়ে দেওয়া উচিত’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা পেট্রোলবোমা ছুড়ে মানুষ পোড়াচ্ছে, তাদের হাত পুড়িয়ে দিলে তারা বুঝবে পোড়ার কী যন্ত্রণা। খবর বাসসের।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীদের পেট্রোলবোমায় একজন অন্তঃসত্ত্বা মায়ের গর্ভেই তার সন্তান মারা গেছে— এ কথা শুনে আমি খুবই কষ্ট পেয়েছি। যারা বোমা বানায় ও তা ছুড়ে মারে গ্রেফতারের পর তাদের হাত পুড়ে দেওয়া উচিত, যেন তারা পোড়ার যন্ত্রণা বুঝতে পারে।
শেখ হাসিনা বলেন, অনেক আঁতেল আমার কথার সমালোচনা করবেন তাদের বলছি, বার্ন ইউনিটে গিয়ে বিএনপি-জামায়াত চক্রের সন্ত্রাসীদের নৃশংসতায় আক্রান্তদের কান্না ও দুর্ভোগ দেখে আসুন।
শনিবার বিকেলে সেগুনবাগিচায় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদফতরের (এনএসআই) ২০তলা বিশিষ্ট প্রধান কার্যালয়ের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন।
বাংলাদেশের সরকার প্রধান হিসেবে শেখ হাসিনা প্রথম এনএসআই সদর দফতর পরিদর্শন করেন।
জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাস এবং মাদক পাচার ও চোরাকারবারির মতো সমাজবিরোধী কার্যক্রম রোধে এনএসআই সদস্যদের নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জঙ্গীবাদী ও সন্ত্রাসীদের বাংলাদেশের মাটিতে স্থান হবে না।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মাটিতে সন্ত্রাসী ও জঙ্গীবাদীদের স্থান হবে না এবং প্রতিবেশী দেশগুলোতে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালানোর জন্য আমরা আমাদের ভূমি ব্যবহার করতে দেব না।’
বিএনপি-জামায়াতের বিগত সরকার সন্ত্রাসী ও জঙ্গীবাদীদের পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, জঙ্গীবাদের পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে তারা নিজেরা নিজেদের জন্য কূপ খনন করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে তার সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ফিরিয়ে এনেছে। এ অঞ্চলে ব্যাপক অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটেছে, তা সত্ত্বেও একটি মহল দেশে হীন খেলায় মেতে আছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, কে বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্র বানাতে চায় এবং সন্ত্রাসী ও জঙ্গীবাদীদের প্রতিষ্ঠিত করতে চায়?
শেখ হাসিনা বলেন, সন্ত্রাসী ও জঙ্গীবাদীদের উৎখাতের মাধ্যমে তার সরকার বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার একটি শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চায়। ‘এই নীতি গ্রহণ করায় দেশে গত ৬ বছর শান্তিপূর্ণ অবস্থা বজায় ছিল।’
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন— অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক ও এনএসআইয়ের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. শামসুল হক।