‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীপ্রধানদের রাজনীতিতে নামিয়েছে সরকার’
২০ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধানদের রাজনীতির মাঠে নামিয়েছে সরকার।
জোটের পক্ষ থেকে শনিবার বিকেলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান সই করা এক বিবৃতিতে এ দাবি করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ক্ষমতাসীনরা এতটাই দেউলিয়া হয়ে পড়েছে যে এখন রাজনৈতিক সমস্যা রাজনৈতিক সমাধানের পথে না গিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধানদের রাজনীতির মাঠে নামিয়ে দিয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর যে সব কর্মচারীর রাজনৈতিক খায়েস রয়েছে আমরা তাদেরকে উর্দি খুলে প্রজাতন্ত্রের চাকুরিতে ইস্তফা দিয়ে রাজনীতির মাঠে নামার আহবান জানাচ্ছি।
২০ দলীয় জোট বিবৃতিতে জানায়, ‘শুক্রবার রংপুর জেলার মিঠাপুকুরে পুলিশের আইজি ও র্যাবের ডিজি জনসভায় রাজনীতিবিদদের মত করে রীতিমত রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়েছেন। তারা বিরোধীদল ও জনগণকে কঠোর ভায়ায় হুমকি ও ভয় ভীতি প্রর্দশন করে ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে আন্দোলনের পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছেন।’
‘দেশে জাতীয় নিবার্চন কখন হবে না হবে সে ব্যাপারে তারা মন্তব্য করেছেন। আন্দোলনকারীদের জীবননাশের হুমকি দিয়ে ক্ষমতাসীনদের পক্ষে শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে লড়াই করার কথা বলেছেন। এর আগে বিজিবির ডিজিও প্রেস কনফারেন্স করে একইভাবে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে হুমকি দিয়েছেন। এ সব ঘটনা স্বাধীন সভ্যদেশে অকল্পনীয়।’
বিবৃতিতে ২০ দলীয় জোট দাবি করে, দেশে প্রতিনিধিত্বশীল সরকার থাকলে শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও এখতিয়ার বর্হিভূত এমন সব বেআইনি বক্তব্য প্রদানের দায়ে তাদেরকে অবশ্যই চাকরিচ্যুত করে আইনের আওতায় আনা হত।
বিবৃতিতে বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন যে বিবৃতি দিয়েছে তাতে সমর্থন জানায় ২০ দলীয় জোট।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশের চলমান রাজনীতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে সহিংসতা বন্ধ, বিরোধী দল ও জনগণের মৌলিক অধিবার রক্ষার আহ্বান জানিয়ে যে বিবৃতি দিয়েছে তাতে আমাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। এটাকে আমরা স্বাগত জানাই। সমস্যাটি যে রাজনৈতিক ও বিরোধী দলের কর্মসূচি পালনে ক্ষমতাসীনদের বাধা প্রদান ও নির্যাতন থেকে উদ্ভূত তারা (জাতিসংঘ) তা অনুধাবন করেছে।’
২০ দলীয় জোটে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সহিংসতার ঘটনাবলীর নিরপেক্ষ ও কার্যকর তদন্তের যে আহ্বান ক্ষমতাসীনদের প্রতি জানানো হয়েছে সে ব্যাপারে আমাদের (২০ দল) এবং বাংলাদেশের জনগণের সংশয় রয়েছে।’
এদিকে, একই বিষয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ শনিবার দুপুরে গণমাধ্যমে বিবৃতি দেন। চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয় থেকে সন্ধ্যায় একই বিষয়ে দলের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান স্বাক্ষরিত বিবৃতি দেওয়ায় রিজভী আহমেদ তার আগের বিবৃতিটি প্রত্যাহার করে নেন।