দেশের প্রথম গোঁখড়া শাপের খামার, তৈরি হবে মরণব্যাধি রোগের প্রতিষেধক
পটুয়াখালী সদর উপজেলার নন্দীপাড়ায় ৩০০ গোখড়া শাপ নিয়ে গড়ে ওঠেছে ব্যতিক্রমী এক খামার। প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শাপের বিষ থেকে উৎপাদন হতে পারে ক্যানসার, বি-ভাইরাসের মতো মরণব্যাধিসহ একাধিক দুরারোগ্য রোগের মহৌষধ।
সৌদি প্রবাসী রাজ্জাক বিশ্বাসের নিবিড় পরিচর্যায় গড়ে উঠেছে এই বিষধর সাপের খামার। যা দেশের ইতিহাসে প্রথম।
প্রবাসে উপার্জিত অর্থ বিনিয়োগ করেও সরকারি অনুমোদন না পাওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে শুরু করতে পারছেন না বিষ উৎপাদন কার্যক্রম।
ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় এক যুগ আগে একটি সাপ নিয়ে খামারটি শুরু করলেও বর্তমানে কমন কোবরা নামে চার প্রজাতির অন্তত ৩০০ বিষধর সাপ রয়েছে এখানে।
বিস্ময়কর এ খামারটি দেখতে প্রতিদিনই কৌতূহলী মানুষ ভিড় করছেন আব্দুর রাজ্জাক বিশ্বাসের খামারবাড়িতে। দেখছেন সাপ খেলা আর শুনছেন এর অজানা তথ্য ও সম্ভাবনার কথা। বাণিজ্যিকভাবে এই খামারটির কার্যক্রম শুরু হলে দেশের ওষুধ শিল্পে রাখবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। এমনটাই দাবি করেন ওই খামারের পরিচালক ও প্রাণিবিদরা। এখন শুধু অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করছে আব্দুর রাজ্জাকের সম্ভবনাময় খামারটি।
ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে ইতিবাচক মন্তব্য উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অনুমোদনসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরেও প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট সব বিভাগের অনুমোদন না পাওয়ায় বিষ উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করতে পারছেন না এই প্রবাসী উদোক্তা।
খামারের পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক বিশ্বাস বলেন, ইতিমধ্যে এ খামারের প্রতিষ্ঠার প্রায় ১৪ বছর অতিবাহিত হয়েছে। এ খামারটি নিয়ে প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা একাধিকবার পরিদর্শন করে খামারের অনুকূলে প্রতিবেদনসহ অনুমোদনের আশ্বাস দেন।
ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি জানান, বিদেশে উপার্জিত সব অর্থই এই খামারে বিনিয়োগ করেছেন। ১০ জন শ্রমিক প্রতিদিন কাজ করছেন খামারটিতে। কি কারণে অনুমোদন প্রক্রিয়া ফাইলবন্দি হয়ে পড়েছে, কেন পড়েছে তার কিছুই জানেন না তিনি।