ঝিনাইগাতীতে প্রচন্ড শীতে জন-জীবন বিপর্যস্ত
ঝিনাইগাতী (শেরপুর) প্রতিনিধি:
শেরপুরের সীমান্তবর্তী উপজেলার গারো পাহাড়ে গত ক’দিনের কনকনে শীত ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় জন-বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত শনিবার গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হয়। এরপর থেকে শীতের তীব্রতা ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। মেঘলা আকাশ আর ঘন কুয়াশায় গত দু’দিনে সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। উপজেলা ট্রাইবাল ওয়েল ফেয়ার এ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান নবেস খকসী, নলকুড়া ইউপি চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান ডেফলাই বেদেপল্লীর সর্দার মাসুদ রানা বলেন, হাড় কাপানো শীতে দরিদ্র, ছিন্নমূল, আদিবাসী ও বেদেপল্লীর লোকজন বেশি কষ্ট পাচ্ছে। পাহাড়ী জনপদের লোকজন আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। প্রচন্ড শীত ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় শ্রমজীবি লোকজন কাজে বের হতে পারছে না। প্রচন্ড শীতের কারনে সন্ধ্যার পর রাস্তা-ঘাট হয়ে পড়ছে জনশূণ্য। শীতে বোরো রোপন ব্যাহত হচ্ছে। হাড় কাপানো শীতে জন-জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। উপজেলার সর্বত্র হাট-বাজারের পুরোনো শীতবস্ত্রের দোকানগুলোতে লক্ষ করা গেছে উপচে পড়া ভীড়। সরকারিভাবে এ পর্যন্ত যে পরিমাণের শীতবস্ত্র পাওয়া গেছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক বলেন, সরকারিভাবে ১৮শ’ কম্বল পাওয়ার পর তা বিতরণ করা হয়েছে। বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করা হয়েছে পাওয়া গেলে বিতরণ করা হবে।