ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে যুবককে গুলি
রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে যাত্রীবাহী বাসে ককটেল নিক্ষেপ করে পালানোর অভিযোগে পুলিশের গুলিতে নূর মোহাম্মদ (২৫) নামে এক যুবক আহত হয়েছেন। শাহবাগে বিস্ফোরণের ওই ঘটনায় বাস চালক ও চকবাজারে পৃথক আরেকটি ককটেল বিস্ফোরণে একজন চা বিক্রেতা আহত হয়েছেন।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলের অবরোধের মধ্যে সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। আহত তিনজনকেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশের ঢামেক হাসপাতাল ক্যাম্প ইনচার্জ পরিদর্শক মোজাম্মেল হক ও শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) আব্দুল আজিম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আহত বাস চালক রাশেদুল ইসলাম রাসেল (২৫) জানান, তিনি ইউনাইটেড পরিবহনের একটি বাস চালিয়ে সদরঘাট থেকে মিরপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। রাত সোয়া ৮টার দিকে শাহবাগ মোড়ে পৌঁছামাত্রই জানালা দিয়ে একটি ককটেল এসে তার গায়ে পড়ে। এতে তার দুই হাতে ককটেলের স্প্লিন্টার বিদ্ধ হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে তার সহকারী মো. শ্যামল তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
শাহবাগে বাসে ককটেল বিস্ফোরণের ওই ঘটনায় যুবককে গুলির বিষয়ে শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) আব্দুল আজিম বলেন, নূর মোহম্মদ (২৫) নামে এক যুবক বাসটিতে ককটেল নিক্ষেপ করে পালানোর চেষ্টা করছিল। পরে ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ তাকে ধরতে তার পায়ে গুলি করে। তাকে ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসা শেষে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ফখরুল ইসলামের ছেলে নূর মোহাম্মদ ফুটপাতে বসবাস করতেন বলেও তিনি জানান।
এদিকে চকবাজারের ইসলামবাগে ককটেল বিস্ফোরণে আব্দুস সামাদ (৬৬) নামে এক চা বিক্রেতা আহত হয়েছেন।
আহতের ছেলে আল আমিন বলেন, রাত সাড়ে আটটার দিকে বাজার করতে যাওয়ার পথে তার বাবার সামনেই একটি ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এসময় তার বাম পায়ের হাটুর নিচে ককটেলের স্প্লিন্টার বিদ্ধ হয়। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে তাকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে।