হাইমচরে পানের বাম্পার ফলন

chandpur-তীব্র শৈত্যপ্রবাহে জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। কৃষিজমিতেও এর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। তবে জেলার হাইমচর উপজেলায় পান চাষে তেমন প্রভাব পড়েনি। এবার পানচাষী ও ব্যবসায়ীরা দারুণ খুশি। আর সেই খুশি রাজনৈতিক যাঁতাকলে বন্দি হয়ে রয়েছে। পাইকার সংকটে ভুগছেন পান ব্যবসায়ীরা।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, গত বছরে তুলনায় এ বছর ঘন কুয়াশা আর শৈত্যপ্রবাহ বেশী লক্ষ্য করা গেলেও কোথাও পানের বরজের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারেনি। যার ফলে বরজে পান পেকে ঝরে যাওয়া, পানে পোকার আক্রমণ, পানের লতায় পচন ধরা একেবারে নেই।
বিগত দিনে এই সময় চাষীদের পানে লাখ লাখ টাকা লোকসান হতো। পান চাষে লোকসান হওয়ায় চলতি বছরে অধিকাংশ চাষী পান চাষ করেননি।
মহজমপুর গ্রামের পানচাষী আবদুল কাদির গাজী দ্য রিপোর্টকে জানান, বিনামূল্যে সার, কীটনাশক, বীজ, ওষুধ সরবাহ করায় কৃষিতে ব্যাপক উৎপাদন বেড়েছে। তাই পানের উৎপাদন ভাল হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর শীতে পানের তেমন ক্ষতি হয়নি।
পানচাষী ইউছুফ পোত্তাল বলেন, ‘গত শীত মৌসুমে আমার এসব বরজে লতায় পচন ধরেছিল। আল্লাহর রহমতে এ শীতে কিছু হয়নি। তবে অবরোধের যাঁতাকলে পাইকাররা আসতে পারছেন না। বাজারে পানের দাম ভাল আছে। তবে যদি অবরোধ দীর্ঘ হয় তাহলে লোকসান গুনতে হবে।’
হাইমচরে পান বরজের মালিকরা জানান, তীব্র শৈত্যপ্রবাহে পানচাষীদের করণীয় কিছু সচেতনমূলক ব্যবস্থা শিখিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ফলে চলতি বছরে পান বিভিন্ন রোগবালাই থেকে রক্ষা পেয়েছে। বাজারে পানের ন্যায্য মূল্য রয়েছে। এই বছর চাষীরা লোকসানের হাত থেকে রক্ষা পাবে। এখন ভয় হচ্ছে রাজনৈতিক অস্থিরতা।
হাইমচর কৃষি কর্মকর্তা মো. জামাল হোসেন জানান, সঠিক সময় ওষুধ দেওয়া এবং পানের বরজে যেন কুয়াশা ও বাতাস ঢুকতে না পারে সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। পানের লতায় বা পাতায় কনকনে বাতাস লেগে ভিতরের রসটা শুকিয়ে যায়। ফলে পানপাতা লাল হয়ে ঝরে পড়ে। এ জন্য এবার পানের বরজে চারদিক দিয়ে পলি অথবা অন্যকিছু বাতাস বাঁধা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। ফলে বিগত বছরের তুলনায় এ বছর হাইমচরে শীতে পানের বাম্পার ফলন হয়েছে বলে জানান তিনি।

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend