ঝিনাইগাতীতে ‘কালিম পাখি’ রাখার দায়ে জরিমানা
‘কালিম পাখি’ রাখার দায়ে ৫ হাজার টাকা জরিমানা গুনতে হয়েছে মমতাজ হোসেন (৩৭) নামে শেরপুরের এক শৌখিন শিকারীকে। তিনি জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার চেঙ্গুলিয়া গ্রামের আমীর আলীর ছেলে। অনুমোদন ছাড়া বন্যপ্রাণী রাখার দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে এ জরিমানা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক জানান, বুধবার বিকেলে ঝিনাইগাতী থেকে শেরপুর আসার পথে বন বিভাগের প্রকৃতি ও বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মাসুদ রানা চেঙ্গুলিয়া গ্রামের মমতাজ হোসেনকে দু’টি কালিম পাখিসহ আটক করেন। পরে ঝিনাইগাতী উপজেলা কম্পাউন্ডে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সামনে তাকে হাজির করা হয়।
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২ ধারা ৩৮ (২)-এর ধারায় দু’টি কালিম পাখি রাখার দায়ে ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৭ দিনের জেল প্রদান করা হয়। পরে মমতাজ হোসেন বৃহস্পতিবার জরিমানার টাকা পরিশোধ করে ছাড়া পান বলে জানান এই বিচারক।
বন বিভাগের প্রকৃতি ও বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মাসুদ রানা জানান, বন্যপ্রাণী শিকার বিনা অনুমতিতে নিজ হেফাজতে রাখা আইনত নিষিদ্ধ। আইন অনুয়ায়ী এটা অপরাধ। বন্যপ্রাণী সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতেই এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। বৃহস্পতিবার কালিম পাখি দু’টি ঝিনাইগাতীতে অবমুক্ত করা হয়।