শোকে অসুস্থ খালেদা জিয়া, ফিরে গেলেন প্রধানমন্ত্রী
এদিকে খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় তাকে ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার একান্ত সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস। শনিবার রাত ৮টা ২০ মিনিটের দিকে তিনি বলেন, কোকোর শোকে খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাই তাকে ঘুমের ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছে। এতে তিনি ঘুমিয়ে পড়েছেন। তিনি ঘুম থেকে উঠে সুস্থবোধ করলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে সাক্ষাতের উদ্যোগ নিব।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে গুলশান কার্যালয়ে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন এ জন্য শিমুল বিশ্বাস ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন জানিয়েছিলেন, রাত ৮ টায় গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রীর রওনা দিবেন।
শনিবার দুপুরে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শাইরুল কবির খান প্রিয়.কমকে জানান, শনিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হলে কোকোকে মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি মালয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি পথেই ইন্তেকাল করেন। হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার বয়স হয়েছিলো পঁয়তাল্লিশ বছর। মৃত্যুকালে তিনি দুই মেয়ে- জাহিয়া রহমান ও জাফিয়া রহমান, স্ত্রী- শর্মিলা রহমান এবং অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
ছেলের আকস্মিক মৃত্যুর খবরে মা খালেদা জিয়া শোকে স্তব্ধ হয়ে পড়েছেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের কর্মকর্তারা জানান, দুই ভাইয়ের বউয়ের কাছ থেকে ছেলের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে এক রকম নির্বাক হয়ে কেঁদে ফেলেন খালেদা জিয়া। কান্নায় তিনি কোনো কথা বলতে পারেননি। এমন অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা সমবেদনা জানাতে খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে যান। কিন্তু ফটক না খোলায় তিনি গণভবনে ফিরে যান।
সর্বশেষ ২০০৯ সালের মে মাসে শেখ হাসিনার স্বামী ড. ওয়াজেদ মিয়ার মৃত্যুর পর ধানমণ্ডির সুধা সদনে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। সে সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সমবেদনা জানান এবং দুই নেত্রীর মধ্যে কিছুক্ষণ কথাও হয়। এরপর বেশ কয়েকবার একই অনুষ্ঠানে যোগ দিলেও তাদের মধ্যে কথা হয়নি। ২০১৩ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর শোক জানাতে বঙ্গভবনে দুই নেত্রী গেলেও কথা বলেননি তাদের কেউ।