ঝিনাইদহের শৈলকুপায় মেলায় চলছে অশ্লীল নাচ আর জুয়া
জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহ থেকে:-
‘‘গাছে ফল ধরেছে/লোকের নজর পড়েছে/হায়রে কাঁচা এ ফল ওরা বুঝি পাঁকতে দেবে না/আমি বেড়া দিয়েছি/বাগান আগলে রেখেছি/যতো চেংড়াছোড়া শান্তিতে আর থাকতে দেবে না।” -এ গানটির সময় ৪ মিনিট ৪ সেকেন্ড। গানের শুরুতেই লিমা নামের ১৮-১৯ বছরের সস্তা মেকাপে এক যুবতি মঞ্চে এসে নাচ শুরু করলো। গানের এক মিনিট অতিবাহিত হবার পরই মঞ্চে নাচরত যুবতিটি নিজ শরীরের পোষাক একে একে খুলতে শুরু করে। গানের ৩ মিনিটের মাথায় তার শরীরের সমস্ত পোষাক খুলে একেবারে উলঙ্গ নাচ করতে থাকে যুবতিটি। একই সঙ্গে উপস্থিত দর্শকও মত্ত হয়ে ওই যুবতির নাচের তালেতালে নাচতে শুরু করলো। গানের শেষে যুবতিটি উলঙ্গ অবস্থায় মঞ্চ থেকে নেমে গেল। আর সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হলো দর্শকদের চিৎকার “আবারো তাদের ওই নাচ চাই”।
শুরু হলো দ্বিতীয় গান। আবারও একই দৃশ্য। ঝিনাইদহের শৈলকুপার মেলার নামে নগ্ন নৃত্য ও রমরমা জুয়ার আসর চলছে। শৈলকুপার বেসামাল নাচ-গান আর যাত্রা মঞ্চের পিছনে লাখ লাখ টাকার জুয়ার আসর চলছে। উঠতি বয়সী কলেজ পড়ুয়া শিার্থী আর গ্রাম্য যুবকের আড্ডায় জমে ওঠা গভীর রাত পর্যন্ত মেলা প্রাঙ্গন এখন শুধুই অশ্লিলতার আগ্রাসন। সরেজমিন মেলা ঘুরে দেখা গেছে দশ দিন ব্যাপী এই মেলা মাঠ তৈরির জন্য লাখ লাখ টাকা।সমাজবিরোধী কাজ পরিচালিত হলেও নগদ নারায়নে তুষ্ট শৈলকুপা উপজেলা প্রশাসন।
এলাকাবাসির অভিযোগ, নিয়মিত মেলার নামে রাতের আঁধারে চলছে উলঙ্গ নৃত্য আর লাখ লাখ টাকার জুয়ার আসর। ঝিনাইদহ প্রশাসক টাকার বিনিময়ে অনুমোদন দিয়েছে বলে দাবি সুশীল সমাজের । স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এই মেলা চলছে। দশ দিন অসামাজিক কাজ চলার পর ঘটা করে মেলা উদ্বোধন করা হয় নগ্ন নৃত্য ও জুয়ার আসর বৈধ করা জন্য। বিচিত্রা অনুষ্ঠানের নামে সন্ধ্যার পর থেকেই শুরু হয় ‘ভ্যারাইটিজ শো’ নামক রঙিন নৃত্য। এর ফলে এলাকার শিার্থীদের লেখাপড়া লাঠে উঠেছে। যুব সমাজকে গ্রাস করছে অবয়ের নীল ছোবল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আয়োজকদের এক দণপতি জানান, বিচিত্রা অনুষ্ঠানের কথা না বললে প্রশাসনিক অনুমতি মেলেনা। এজন্য ভ্যারাইজি শো এবং লাখ লাখ টাকার ডাব্বু জুয়া ও লটারী খেলা চালানো হচ্ছে। তাছাড়া আয়োজকরা সবাই ¯’ানীয় সংসদ সদস্যের কথিত আত্মীয় পরিচয় দিয়ে প্রভাব খাটিয়ে মেলার নামে অশ্লিল নাচ-গান, জুয়ার আসর অব্যাহত রেখেছেন। এলাকাবাসির অভিযোগ সংসদ সদস্যদের নাম ভাঙ্গিয়ে মেলায় অশ্লিলতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে দেওয়ায় এলাকার উঠতি বয়সী যুবসমাজ হচ্ছে বিপথগামী। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক জানান, মেলার অনুমোদন হলেও যাত্রা বা জুয়ার অনুমোদন নাই। তিনি জুয়া ও নগ্ন নৃত্যের বিষয়ে পর্যবেন করে ব্যব¯’া গ্রহন করবেন বলে জানান। এ বিষয়ে শৈলকুপা বাসি জুয়া ও নগ্ন নৃত্য বন্ধে ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসকের হস্তপে কামনা করেছেন।