রামপুরায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত একজনের পরিচয় মিলেছে
রাজধানীর রামপুরা বনশ্রীতে র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত দুইজনের মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম আবুল কালাম আজাদ (৪৫)।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে এসে সোমবার রাত ৭টার দিকে আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী শাহিনুর বেগম তার লাশ শনাক্ত করেন। এ সময় আবুল কালামের ভাইয়ের স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার উপস্থিত ছিলেন।
রামপুরা বনশ্রী আইডিয়াল স্কুল এ্যান্ড কলেজের পাশে শনিবার রাত আড়াইটার দিকে র্যাব-৩ এর সদস্যদের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই যুবক নিহত হন।
স্বামীর সন্ধানে ঢামেক হাসপাতাল মর্গে আসা শাহিনুর বেগম জানান, নিহত আবুল কালাম আজাদ ভোলা সদরের বাত্তা গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে। তিনি পরিবার নিয়ে টঙ্গীর এরশাদ নগরে থাকতেন। তাদের শিল্পী আক্তার (১৮), রোজিনা আক্তার (১৭) ও আফসানা আক্তার (১১ মাস) নামে তিন মেয়ে রয়েছে।
শাহিনুর বেগম জানান, তার স্বামী রেন্ট-এ-কারের চালক ছিল। গত ২১ ডিসেম্বর বিকেলে রাগারাগি করে বাসা থেকে বের হয়ে যান। এর পর রাত ১১টায় আবুল কালাম নিজেই ফোন দিয়ে বাসার সবার খোঁজখবর নেন। ওই রাতে তিনি বাসায় ফিরেননি।
তিনি আরও জানান, পরের দিন ২২ ডিসেম্বর নিজেই তাকে ফোন দেই এবং তার ফোন বন্ধ পাই। তারপর আর কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।
সাঈদ নামে তার এক বন্ধু সোমবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে খোঁজ নিতে বলে। তার কথা মতো এখানে এসে লাশ পাওয়া যায়।
শাহিনুর বেগম আরও জানান, তার স্বামী আবুল কালাম ২ মাস আগে তিন দিন নিখোঁজ ছিলেন। পরে ঢাকার মিন্টু রোডের ডিবি কার্যালয় থেকে ফোন দিয়ে আমাকে সেখানে যেতে বলা হয়। তখন আমাদের কাছ থেকে ৫৪ হাজার টাকা নিয়ে তাকে জেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এরপর আদালতের মাধ্যম ছাড়া পান আবুল কালাম। ওই সময় তাকে ডাকাত সন্দেহে ধরা হয়েছিল বলেও তিনি জানান।
এর আগে রবিবার রামপুরা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) টিপু সুলতান নিহত আবুল কালাম আজাদের লাশের সুরাতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারাওয়াত মেহজাবীনের উপস্থিতিতে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।
প্রতিবেদনে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ১৬টি গুলি লাগার কথা উল্লেখ করা হয়। এর মধ্যে বুকের ডান পাশে দুটি গুলির চিহ্ন, বুকের বাম পাশে একটি, পেটের বিভিন্ন অংশে ৭টি, বাম হাতের ওপরে একটি ও কোমরের পাশে ৫টি গুলির চিহ্নের কথা উল্লেখ করা হয়। ওই ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত অপর যুবকের পরিচয় এখনও মেলেনি। সোমবার দুই লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়।