মেট্রোরেল বিল পাস
মাত্র ৩৮ মিনিটে উত্তরা থেকে মিরপুর হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত ৬০ হাজার যাত্রী নিয়ে যাতায়াতের সক্ষমতা সম্পন্ন ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট প্রজেক্ট বাস্তবায়নে মেট্রোরেল বিল পাস হয়েছে। জাতীয় সংসদে সোমবার বহুল আলোচিত ‘মেট্রোরেল বিল-২০১৫’ কণ্ঠভোটে পাস হয়েছে। একই দিন সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত ফাইন্যান্সিয়াল রিপোটিং বিল-২০১৫ উত্থাপন করেন। বিলটি যাচাই-বাছাই করার জন্য সংশ্লিষ্ট স্থায়ী কমিটিতে প্রেরণ করা হয়।
সংসদের পঞ্চম অধিবেশনের ষষ্ঠ দিনে সোমবার ‘মেট্রোরেল বিল-২০১৫’ যাচাই-বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। চলতি সংসদের চতুর্থ অধিবেশনের সমাপনী দিনে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন। এরপর বিলটি চার সপ্তাহের মধ্যে যাচাই-বাছাই করে রিপোর্ট প্রদানের জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
পঞ্চম অধিবেশনের ষষ্ঠ দিনে বিলটি পাসের প্রস্তাব করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তরুণ সমাজের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য সরকারের মেগা প্রজেক্ট হল এই ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট প্রজেক্ট। প্রকল্প বাস্তবায়নে খরচ হবে ২১ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারের বিনিয়োগ ৫ হাজার কোটি টাকা। শূন্য দশমিক শূন্য এক টাকা (০.০১) সুদে ১৬ হাজার ৫৯৪ কোটি টাকা ঋণে জাইকার আর্থিক সহযোগিতা পাওয়া যাবে। ৪০ বছরে এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে। চলতি মাসেই প্রথম টেন্ডার এবং এই বছরেই বাকি ৮টি টেন্ডার আহ্বান করা হবে।
মন্ত্রী সংসদকে আরও জানান, উত্তরা থেকে মিরপুর, ফার্মগেট, শাহবাগ, টিএসসি ও তোপখানা রোড হয়ে মতিঝিলের বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত মেট্রোরেলের দৈর্ঘ্য ২০ কিলোমিটারের বেশী। এ পথে চলাচলকারী যাত্রীদের সুবিধার্থে ১৬টি স্টেশন রাখা হয়েছে। ট্রেনটি প্রতি ট্রিপে ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহন করতে পারবে। এ জন্য ঢাকা র্যাপিড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি গঠন করা হয়েছে। রাজউক থেকে প্রয়োজনীয় ২২ একর জমি সংস্থাকে হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্রুত ও স্বল্প খরচে জনগণকে যাতায়াতের সুযোগ করে দিতে ২০১২ সালে এই মেগা প্রজেক্ট গ্রহণ করেন।