শেরপুরে ১৮ দিনে অবরোধের ঘটনায় গ্রেফতার ৯
দেশব্যাপী গত ৫ জানুয়ারি থেকে বিএনপি তথা ২০ দলের ডাকা টানা অবরোধ শেরপুরে চলছে ঢিলেঢালাভাবে। কারণ, ২০ দলের প্রধান বিএনপি শুরু থেকেই মাঠে নেই। গত ৭ জানুয়ারি ভোরে শেরপুর-ঝিনাইগাতী সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে ও টায়ার জ্বালিয়ে শ্রমিক দল, ছাত্রদল ও যুবদলের নেতৃবৃন্দদের অবরোধ এবং গত ১২ জানুয়ারি ছাত্রদলের আহ্বানে হরতালের সমর্থনে জেলা ছাত্রদলের মিছিল ছাড়া আর কোনো কর্মসূচি দেখা যায়নি শেরপুরে। এ ছাড়া ২০ জানুয়ারি থেকে ঢাকা বিভাগে ডাকা ৪৮ ঘন্টার হরতালেও মাঠে ছিল না বিএনপি।
গত ৭ জানুয়ারির সড়ক অবরোধের ঘটনায় ঝিনাইগাতী থানা পুলিশ ১২ জনের নামে এবং ২০ জনের অজ্ঞাত নামে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে একটি মামলা করে। ওই মামলায় ঘটনার দিন ঝিনাইগাতী উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম জুন ও উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক এখলাছসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
গত ১২ জানুয়ারি ভোরে জেলা শহরে মিছিল করায় জেলা যুবদলের আহ্বায়ক শফিকুর ইসলাম মাসুদকে ঝিনাইগাতী থানার ৭ জানুয়ারির মামলায় আসামি দেখিয়ে গ্রেফতার করা হয়।
গত ৫ জানুয়ারি থেকে সর্বশেষ ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত এই ১৮ দিনে শেরপুর জেলায় অবরোধের নাশকাতামূলক কাজের ঘটানায় মাত্র একটি মামলা এবং মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিএনপি মাঠে না থাকলেও দিনের বেলা দূরপাল্লার কোনো যানবাহন চলাচল করছে না। কেবল রাতের বেলা নাইটকোচ এবং পণ্যবাহী কিছু যানবাহন চলাচল করছে। শহর এবং আন্তঃউপজেলার সকল সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। বিজিবি এবং যৌথবাহিনীর টহল থাকায় এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো সহিংস ঘটনা ঘটেনি। জেলায় যৌথবাহিনী মাঠে থাকায় কোনো রাজনৈতিক অস্থিরতা নেই, ফলে গ্রেফতারও হয়নি কোনো নেতাকর্মী। সাধারণ মানুষ জেলাসহ জেলার বাইরে বিভিন্ন যানবাহনের মাধ্যমে চলাচল করতে পারলেও অবাধে এবং সকল পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করতে না পারায় জেলার ব্যবসা-বাণিজ্যে মন্দা পড়তে শুরু করেছে।
অবরোধের ব্যাপারে শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহিবুল ইসলাম খান জানান, জেলায় কোথাও কোনো অবরোধ নেই। কেবল ঝিনাইগাতীতে একটি অবরোধ এবং নাশকতা ঘটানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। তা পুলিশ নিয়ন্ত্রণ করে এবং পরবর্তীতে নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা ও কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিকে গত ২২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত শেরপুর জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের অবরোধ কর্মসূচিকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড উল্লেখ করে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।