পুত্রহীনার আর বিধবার কাঁদনে- সৈয়দ আবুল মকসুদ
-কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত কবিতা ‘মোহর্রম’।
কারবালার বিয়োগান্ত ঘটনায় তিনি লিখেছেন: ‘পুত্রহীনার আর বিধবার কাঁদনে/ ছিঁড়ে আনে মর্মের বত্রিশ বাধনে!’ পুত্রহীনা ও বিধবায় ভরে গেছে আজ গোটা মধ্যপ্রাচ্য। মা-বাবাহারা ছেলেমেয়ে, সন্তানহারা মা, স্বামীহারা স্ত্রী ও স্ত্রীহারা স্বামীদের কান্নার হাহাকার আজ বাংলার মাটিতেও। কোনো বড় দলের নেতা বা কর্মী নন, সাধারণ মানুষ নিতান্ত প্রয়োজনে রাস্তায় যাতায়াত করতে গিয়ে পুড়ে মরছে। অনেকে না মরে কাতরাচ্ছে হাসপাতালগুলোতে।
সরকার ও সরকারি দল এবং প্রধান বিরোধী দলের বিরোধে দেশ আজ এক অস্বাভাবিক অবস্থায় পড়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিস্থিতির জন্য দুই পক্ষই পরস্পরকে দোষারোপ করছে। প্রচারমাধ্যম সহিংস ঘটনাগুলো খুব দরদ দিয়ে আবেগী ভাষায় বর্ণনা করছে। হৃদয়স্পর্শী ছবিও প্রকাশ করছে। সেগুলো পড়ে ও দেখে মানুষের মন খারাপ না হয়ে পারে না। কিন্তু বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ করছি, সামগ্রিক পরিস্থিতির বস্তুনিষ্ঠ বিশ্লেষণ নেই। পত্রিকার উপসম্পাদকীয়গুলোতে পরিস্থিতির বর্ণনা আছে, লেখকদের পক্ষপাত বা নিরপেক্ষতাও লক্ষ করা যায়, ভাষায় মুনশিয়ানা আছে। কিন্তু মূল কারণ অনুসন্ধানের আগ্রহ কম। তার ফলে কয়েক দিনের মধ্যে যদি এ অচলাবস্থা অবরোধ প্রভৃতি থেমেও যায় আসল সমস্যা থেকেই যাবে। মূল রোগ আর রোগের উপসর্গ দুই জিনিস। উপসর্গকে রোগ মনে করা ভুল। শরীরের কোথাও ফুলে উঠে টিউমারের মতো হয়েছে। সেখানে ব্যথাও খুব। আসলে ওটা রোগ নয়। শরীরে ক্যানসার থেকেই ওই অবস্থা। সুস্থতা চাইলে চিকিৎসা করতে হবে ক্যানসারের—ফুলে ওঠা জায়গাটির নয়। শুধু বেদনানাশক ট্যাবলেট গিলিয়ে রোগ নিরাময় করা যাবে না।
বর্তমানে দেশে যে অবরোধ, হরতাল, ভাঙচুর, ককটেল, হাতবোমা, পেট্রলবোমা প্রভৃতি—তা রোগের উপসর্গ, রোগ নয়। রোগটা ক্রনিক: দীর্ঘস্থায়ী রাজনৈতিক ও শাসনতান্ত্রিক সংকট। সাংবিধানিক সংকট আর রাজনৈতিক-শাসনতান্ত্রিক সংকট দুই জিনিস। বর্তমানে সাংবিধানিক সংকট নেই। রাজনৈতিক ও নৈতিক সংকটে জাতির শ্বাস রুদ্ধ। বেশিক্ষণ শ্বাসরুদ্ধ থাকলে প্রাণীর কী পরিণতি হয়, তা মানুষমাত্রই জানে।
কোনো কোনো হতভাগ্য মানবসন্তান কিছু দুরারোগ্য রোগ মাতৃগর্ভ থেকেই নিয়ে আসে। অতি সতর্ক জীবনযাপন ছাড়া জন্মগত রোগের যন্ত্রণা থেকে স্বাভাবিক জীবনযাপন সম্ভব নয়। বাংলাদেশের যে রাজনৈতিক রোগ, তা তার জন্মগত। বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোর ভূমিকা ছিল। তখন আন্তর্জাতিক শক্তি একমেরুবিশিষ্ট ছিল না। বাংলাদেশের প্রশ্নে এখনো আন্তর্জাতিক শক্তি কয়েক ভাগে বিভক্ত। দেশীয় রাজনীতিতে তার প্রভাব থাকবেই। আমাদের প্রধান বুদ্ধিমানেরা জাতীয় রাজনীতিতে বিদেশি হস্তক্ষেপের সমালোচনা করেন। তাঁরা ভুলে যান বাংলাদেশের স্বাধীনতায়ও বিদেশিদের ব্যাপক সহযোগিতা ছিল। সেকালে থাকলে একালে থাকবে না কেন? তা থাকলেও পরিমাণে অতি অল্প মাত্রায় থাকতে পারত, যদি আমরা স্বাধীনতার পর ঐক্যবদ্ধ থাকতাম এবং আমাদের নেতারা পরিচয় দিতেন প্রজ্ঞার ও দূরদর্শিতার এবং যদি নেতারা ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিতেন, যদি থাকত তাঁদের ত্যাগের মানসিকতা, তাহলে বিদেশিরা আমাদের কাছে ঘেঁষতে পারত না, রাজনীতিতে নাক গলানোর প্রশ্নই আসত না।
পূর্ব বাংলার ‘পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন’-এর দাবি ছিল পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকেই। সেটি ছিল জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত দাবি, তাতে কোনো বিদেশি শক্তির প্ররোচনার প্রয়োজন হয়নি। ষাটের দশকের মধ্যভাগ থেকে আইয়ুব সরকারকে চাপে রাখতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পূর্ব বাংলার ‘পূর্ণ’ স্বায়ত্তশাসনের দাবিকে জোরালো সমর্থন দিতে থাকে। সেই সমর্থনের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল পূর্ব বাংলায় সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব প্রতিহত করা।
কেন্দ্রীয় সরকারের বৈষম্যমূলক নীতি ও দমন-পীড়নে বাঙালিরা অধিকাংশ, বিশেষ করে মধ্যশ্রেণিটি, সমাজতন্ত্রের আগে স্বায়ত্তশাসন অর্জনকেই শ্রেয় মনে করেছে। এর মধ্যে সত্তরের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ী দলের নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে অনিচ্ছা প্রকাশ করায় এবং একাত্তরের মার্চে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ঝাঁপিয়ে পড়ায় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ অনিবার্য হয়ে পড়ে। সেই যুদ্ধে বিদেশি শক্তির সহায়তাও অনিবার্য হয়ে পড়ে এবং সেই মুক্তিযুদ্ধই বাংলাদেশকে উপহার দেয় স্বাধীনতা।
পাকিস্তানের কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে সোভিয়েত কমিউনিস্ট পার্টির ভ্রাতৃপ্রতিম সম্পর্ক ছিল। পাকিস্তান সরকারের সঙ্গেও তাদের স্বাভাবিক সম্পর্ক ছিল। যদিও ভারতের সঙ্গেই ছিল তাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রথম কয়েক মাস সোভিয়েত রাশিয়ার ভূমিকা ছিল নিরপেক্ষ বা নির্লিপ্ত। রাশিয়ার বাংলাদেশ নিয়ে কোনো ঘোষিত নীতি ছিল না। বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামে তারা জোরালো সমর্থন দেয়নি। অন্যদিকে ষাটের দশকে চীন ভেবেছিল পূর্ব বাংলায় সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব হতে পারে। ’৭১-পূর্ব পূর্ব বাংলার পরিস্থিতি তেমনটিই ছিল। রাশিয়া বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তখনই সমর্থন দেয়, বিশেষভাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর অনুরোধে, যখন পাকিস্তান বাহিনী পর্যুদস্ত ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা প্রায় নিশ্চিত এবং পাকিস্তানিদের পরাজয় অবশ্যম্ভাবী।
বিভিন্ন দেশের অবমুক্ত দলিলপত্র থেকে এখন জানা যায়, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হলে তা পশ্চিমবঙ্গে বা আসামে শুধু নয়, পশ্চিম পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ, সিন্ধু প্রভৃতি এলাকায়ও ছড়িয়ে পড়ত। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ উগ্র বাম রাজনৈতিক আন্দোলনে পরিণত হতো। তা সামাল দেওয়া ভারত বা রাশিয়ার পক্ষে কঠিন হতো। হয়তো বা বাংলাদেশে ভিয়েতনামের মতো বিপ্লবী পরিস্থিতি সৃষ্টি হতো।
চীনের কমিউনিস্ট সরকার বাংলাদেশে একাত্তরে মার খায়। কেউ কোথাও মার খেলে সহজে ভোলে না। ইসলামি রাষ্ট্র পাকিস্তান থেকে বিপুল মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ পূর্ব বাংলা বেরিয়ে যাক, তা সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো চায়নি। মধ্যপ্রাচ্যপন্থী মুসলিম জাতীয়তাবাদী অথবা ইসলামি দলগুলো যেমন মুসলিম লীগ, জামায়াতে ইসলামী, নেজামে ইসলাম প্রভৃতি ছিল ভারতবিরোধী। তারা যুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে। সে বিরোধিতা নিষ্ক্রিয় শুধু মৌখিক বিরোধিতা নয়, তারা সক্রিয়ভাবে বর্বর পাকিস্তানি বাহিনীকে সহযোগিতা করেছে। তাদের অনেক নেতা-কর্মী গণহত্যায় অংশ নিয়েছেন।
বাংলাদেশের স্বায়ত্তশাসন ও স্বাধীনতায় সমর্থন দিয়েছে মতাদর্শনির্বিশেষে মস্কোপন্থী কমিউনিস্ট পার্টি এবং চীনপন্থী কমিউনিস্ট উপদল, সবগুলো ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়নসহ বহু সংগঠন। প্রবাসী সরকারের মন্ত্রিসভায় ছিলেন শুধু আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা। আওয়ামী লীগের মধ্যেও ছিল বিভিন্ন উপদল। এক উপদল আরেক উপদলকে সহ্য করতে পারত না। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে প্রতিটি উপদলই নিজেকে মূলধারা মনে করত। বিভিন্ন দল-উপদলকে কাছাকাছি আনার চেষ্টা হয়নি।
স্বাধীনতার পরপরই বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিচিত্র রকম উপদলীয় কোন্দল দেখা দেয়। ওদিকে চীনপন্থী কমিউনিস্টদের কয়েকটি জনবিচ্ছিন্ন উপদল কঠোর সরকারবিরোধী অবস্থান গ্রহণ করে। জামায়াত, নেজামে ইসলাম, মুসলিম লীগের সমর্থকেরা ঘাপটি মেরে থাকলেও যখন জাসদ সরকার উৎখাতের উগ্র কর্মসূচি বাস্তবায়নে নামে, তাতে তারা গোপনে সমর্থন দেয়। ওদিকে আওয়ামী লীগ অপার আত্মবিশ্বাস থেকে অন্যান্য দলের সহযোগিতা নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেনি। ফলে বিভিন্ন দল ও উপদলের সঙ্গে তাদের দূরত্ব সৃষ্টি হয়। যদিও অনেক দল সহযোগিতা দিতে চেয়েছে। তারা প্রত্যাখ্যাত হয়। অন্যান্য দলের সঙ্গে অসহযোগিতার ফলটা দাঁড়ায় এই যে, পঁচাত্তরের পর থেকে আওয়ামী লীগ ২১ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকে। অহমিকা ও ঔদ্ধত্য থেকে দেশে একটি বিশাল আওয়ামীবিরোধী শক্তির জন্ম দিয়েছে আওয়ামী লীগ নিজেই। আজকের সাংঘর্ষিক রাজনীতি তারই পরিণতি।
জিয়াউর রহমান ও হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সময় বাংলাদেশের গ্রামীণ দারিদ্র্য হ্রাস পায়। বৈদেশিক সাহায্যে অবকাঠামোর উন্নতি হয়। ক্ষুদ্রঋণের দ্বারা গ্রামের একশ্রেণির মানুষ উপকৃত হয়। নিচের দিকে শিক্ষার বিস্তার ঘরে, নারীর ক্ষমতায়ন হয়। বেসরকারি খাত বিকশিত হয়। দুই শাসকের সময়ই মধ্যপ্রাচ্য ও পশ্চিমা পঁুজিবাদী দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের উন্নতি হয়। মধ্যপ্রাচ্যে ব্যাপক হারে অদক্ষ শ্রমিকেরা যান এবং টাকা পাঠাতে থাকেন। অন্যদিকে পশ্চিমা দাতারা দুই হাত উজাড় করে অনুদান-দান-ঋণ দিতে থাকে। তৈরি পোশাকশিল্পসহ বিভিন্ন কলকারখানা, যার ফলে আজকে যারা বাংলাদেশে ধনকুবের, সবই ১৯৭৬ থেকে ৯৬-এর মধ্যে গড়ে ওঠে। লুণ্ঠনও হয় এই সময়ই সবচেয়ে বেশি। যে ২১ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতার বাইরে ছিল, তখন তাদের নেতারা অন-আওয়ামী লীগ সরকার দুটি থেকে কম সুযোগ-সুবিধা পেয়েছেন, তা মোটেই নয়। বহু মধ্যবিত্ত আওয়ামী লীগ নেতা উচ্চবিত্ত হয়েছেন ওই সময়ই। দলমত-নির্বিশেষে একটি সুবিধাভোগী শ্রেণির উত্থান ঘটে ওই সময়।
১৯৪৮ থেকে ৭১-এর রাজনীতির ফসল মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধ থেকে স্বাধীন বাংলাদেশ। সেকালে প্রতিটি আন্দোলনের পেছনে একটি নীতি-আদর্শ ছিল। নীতির কারণে প্রতিটি আন্দোলনই জয়যুক্ত হয়েছে। কি ভাষা আন্দোলন, কি শিক্ষা আন্দোলন, কি ছয় দফা আন্দোলন, কি উনসত্তরের গণ-আন্দোলন। তখনকার প্রতিটি আন্দোলনের প্রাণশক্তি ছিলেন ছাত্র-যুবসমাজ ও শ্রমিকেরা। স্বাধীনতার পর ছাত্র-যুবসমাজকে বিপথগামী করা হয়েছে। শ্রমিকনেতারা মালিক ও শাসকদের কাছে বিক্রি হয়ে গিয়েছেন। গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিও শেষ, ট্রেড ইউনিয়নও শেষ। বিক্রি হয়েছেন পেশাজীবী, বুদ্ধিজীবী, শিল্পী-সাহিত্যিকসহ প্রায় সব শ্রেণির নেতারা। তাই আজ রাজনীতির নামে যে আন্দোলন অবরোধ হরতাল হয়, তাতে নেতা-কর্মীদের দেখা যায় না, ভাড়াটে সন্ত্রাসীরাই নায়কের ভূমিকা পালন করে। যানবাহনে আগুন জ্বলে, যাত্রীবাহী বাসে পেট্রলবোমা পড়ে, মানুষ পুড়ে কয়লা হয়, রেললাইন উপড়ে ফেলা হয় এবং আরও কত রকম নাশকতা।
রাজনৈতিক আন্দোলনের নামে চলছে অরাজকতা। এ ধরনের কাণ্ডজ্ঞানহীন আন্দোলনে বিভিন্ন কায়েমি স্বার্থবাদী গোষ্ঠী সক্রিয় থাকে। তারাও সহিংসতা ঘটিয়ে সরকার বা বিরোধী পক্ষের ওপর দোষ চাপাতে পারে। প্রশাসনের কাজ অপরাধীদের ধরে দ্রুত বিচার করে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া। সরকারি নেতাদের কাছে মানুষ চায় যুক্তিগ্রাহ্য ব্যাখ্যা—বাচালতা নয়।
আমাদের নেতারা নিশ্চয়ই আমাদের চেয়ে বেশি বোঝেন ও জানেন। অল্প বুদ্ধিতে আমরা যা বুঝি তা হলো, যদি অগণতান্ত্রিক হঠকারিতায় উগ্র বাম শক্তির উত্থান ঘটার উপক্রম হয়, তখন আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের ভাষায় ‘মডারেট’ ইসলামি শক্তিকেই সমর্থন দেবে। মাদ্রাসার গরিবেরা যদি বাম বিপ্লবীদের সঙ্গে যোগ দেয়, শাসকগোষ্ঠী তা মোকাবিলা করতে পারবে না। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতারা বিষয়টি যত তাড়াতাড়ি বিবেচনা করবেন, ততই তাঁদের জন্য মঙ্গল। দেশের মানুষও বাঁচে।
সৈয়দ আবুল মকসুদ: গবেষক, প্রাবন্ধিক ও কলাম লেখক৷