১৮৩৮/১৪৭ নম্বর কবরে শায়িত হবেন কোকো
সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর লাশ বনানী কবরস্থানের১৮৩৮/১৪৭ নম্বর কবরে দাফন করা হবে। এ জন্য মঙ্গলবার দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটের দিকে কবর খোঁড়া শুরু হয়। শেষ হয় বিকেল ৪টা ২৫ মিনিটে।
কবর খোঁড়ার তত্ত্বাবধানে ছিলেন জিয়া পরিবারের পক্ষে আতিকুর রহমান রুম্মন এবং স্থানীয় ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার ও গুলশান থানা বিএনপির নেতা আবদুল আলীম নকী। আট কর্মীর প্রায় তিন ঘণ্টা চেষ্টার পর কবর খোঁড়ার কাজ শেষ হয়।
বনানী কবরস্থানের ১৮ নম্বর ব্লকের শুরুর দিকে ১৮৩৮/১৪৭ নম্বর কবরে শায়িত হবেন আরাফাত রহমান কোকো। এর আগে ওই স্থানে কোনো কবর ছিল না। এ বিষয়ে আবদুল আলীম নকী জানান, আমরা চেয়েছিলাম যাতে বড় রাস্তার সঙ্গে জায়গা পাওয়া যায়। অনেক চেষ্টার পর জায়গাটির ব্যবস্থা হয়েছে।
কবরস্থানের তত্ত্বাবধায়ক আবদুল বারী জানান, এর আগে এখানে কোনো কবর ছিল না। সম্পূর্ণ নতুন কবর এটি।
তিনি আরো জানান, লাশ দাফনের যাবতীয় কাজ শেষ করা হয়েছে।
কবর খোঁড়ার কাজে অংশ নেন- আবদুর রহমান, জিতু মিয়া, মো. জসিম, শফিউল্লাহ, জালাল, সৈয়দ আলী, মজিদ মিয়া ও আবদুল কালাম।
এদিকে কোকোর দাফন নিয়ে বনানী কবরস্থানে পর্যাপ্ত লাইটিংয়ের ব্যবস্থার নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বি এম এনামুল হক। সন্ধ্যা হয়ে গেলেও যাতে কোনো সমস্যা না হয়। একই সঙ্গে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন তিনি।
সার্বিক নিরাপত্তায় বনানী কবরস্থানে দুই প্লাটুন পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে বলে জানা গেছে।
এর আগে, মঙ্গলবার দুপুর ১টা ২৫ মিনিটের দিকে সরেজমিন বনানী কবরস্থানে উপস্থিত হয়ে ঢাকা সিটি করপোরেশন (ডিসিসি) উত্তরের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বি এম এনামুল হক কবর খোঁড়ার নির্দেশ দেন। কবরস্থানের তত্ত্বাবধায়ক আবদুল বারী ওই সময় জানান, কবর খুঁড়তে দুই থেকে তিন ঘণ্টা সময় লাগবে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘একজন সাবেক সেনাপ্রধানের সন্তান হিসেবে অধিকার থাকার পরও শুধু রাজনৈতিক কারণে কোকোর লাশ বনানী সামরিক কবরস্থানে দাফন করতে দেওয়া হচ্ছে না। তাই বনানী কবরস্থানে লাশ দাফনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১২টায় কোকোর লাশ দেশে পৌঁছে। লাশ গুলশান কার্যালয়ে নেওয়ার পর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে নেওয়া হবে। সেখানে জানাজা শেষে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কিছুক্ষণ রাখা হবে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো ২৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মালয়েশিয়ায় হার্ট এ্যাটাকে মারা যান।
মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে জাতীয় মসজিদ নাগারায় রবিবার দুপুরে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।