দাদীর কাছেই জাহিয়া ও জাফিয়া
সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী ও দুই সন্তান এখন খালেদা জিয়ার কাছে অবস্থান করছেন।
স্বামী আরাফাত রহমান কোকোর মরদেহের সঙ্গে মঙ্গলবার দুপুরে কুয়ালালামপুর থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছেন স্ত্রী শামিলা রহমান সিঁথি এবং তাদের দুই সন্তান জাহিয়া রহমান ও জাফিয়া রহমান। তারা বর্তমানে দাদী খালেদা জিয়ার সঙ্গে গুলশান কার্যালয়ে অবস্থান করছেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ম্যাডামের ছোট ছেলের স্ত্রী ও দুই সন্তান এখন গুলশান কার্যালয়ে অবস্থান করছেন। প্রাণপ্রিয় সন্তানকে শেষ বিদায় দেওয়ার পর একেবারে মুষড়ে পড়েছেন মা খালেদা জিয়া।
তিনি বলেন, ছেলেকে শেষ বিদায়ের পর অঝরে কেঁদেছেন খালেদা জিয়া। মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন তিনি। পরিবারের সদস্যরা তাকে বিশ্রামে রেখেছেন।
গুলশান কার্যালয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে এখন অবস্থান করছেন বোন সেলিনা ইসলাম, ভাই শামীম এস্কাদারের স্ত্রী কানিজ ফাতেমা, সাইদ এস্কাদারের স্ত্রী নাসরিন সাইদ, তারেক রহমানের শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু, স্ত্রীর বড় বোন শাহিনা খানম বিন্দুসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা।
১৯৯৭ সালে আরাফাত রহমান কোকোর সঙ্গে বিয়ে হয় শামিলা রহমান সিঁথির। ওই বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরাফাত রহমান কোকো ২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি মালায়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। কোকো ছিলেন বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য। তিনি রাজনীতিবিদের চেয়ে একজন ব্যবসায়ী হিসেবেই বেশি পরিচিত ছিলেন। এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ও সিটি ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। দুই মেয়ের জনক কোকোর বয়স হয়েছিল ৪৫ বছর।
সাত বছর আগে দেশ ছাড়ার পর স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে কুয়ালালামপুরের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন তিনি। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৮ সালের মে মাসে আটক অবস্থায় শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বিদেশে চিকিৎসার জন্য প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল তাকে। এরপর থেকে তিনি বিদেশেই অবস্থান করছিলেন। আরাফাত রহমান কোকোর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা বিচারাধীন ছিল। খালেদা জিয়া ২০১২ সালে কোকোর সঙ্গে সিঙ্গাপুরে সাক্ষাৎ করেন।