বাস র্যাপিড ট্রানজিট নির্মাণ শুরু ডিসেম্বরে ; গাজীপুর থেকে ৪০ মিনিটে এয়ারপোর্ট, ঘণ্টায় যাত্রী ৪০ হাজার
গাজীপুর থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত বহু প্রতীক্ষিত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে চালু হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি আরও জানিয়েছেন, বিআরটি’র মাধ্যমে গাজীপুর থেকে এয়ারপোর্ট আসতে সময় লাগবে ৪০ মিনিট। প্রতি ঘণ্টায় উভয় দিকে ৪০ হাজার যাত্রী পরিবহন করা যাবে।
সচিবালয়ে মঙ্গলবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘বিআরটির নির্মাণ কাজ আগামী ডিসেম্বরে শুরু হবে। স্টেশন সংখ্যা হবে ২৫টি। বিআরটি বাসের সংখ্যা হবে ১৪০টি।’
সড়কমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী জুলাই মাসে বিআরটির মূল করিডোর, টঙ্গী সেতু, ফ্লাইওভার ও অন্যান্য সকল নির্মাণ কাজের দরপত্র আহ্বান করা হবে। ডিসেম্বর মাসে সকল নির্মাণ কাজ শুরু হবে। প্রকল্পটি ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে শেষ হবে।’
তিনি বলেন, ‘ঢাকা মহানগরীর সঙ্গে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের জনগণের যাতায়াত নির্বিঘ্ন, দ্রুত ও আরামপ্রদ করতে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), ফরাসী দাতা সংস্থা এএফডি, গ্লোবাল এনভায়রণমেন্ট ফ্যাসিলিটি (জিইএফ) এবং বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রকল্পের ব্যয় ধর হয়েছে ২ হাজার ৩৯ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে প্রকল্প সহায়তা এক হাজার ৬৫০ কোটি ৭০ লাখ টাকা ও সরকার দেবে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ ২০১২ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।’
সড়ক ও জনপথ অধিদফতর, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রকল্পের মূল কাজের মধ্যে রয়েছে, ২০ কিলোমিটার বিআরটি করিডোর, ছয়টি ফ্লাইওভার, চার কিলোমিটার এলিভেটেড সড়ক, ১৪১টি সংযোগ সড়ক, মার্কেট উন্নয়ন ১০টি, স্টর্ম ড্রেন ১২ কিলোমিটার, আট লেন বিশিষ্ট টঙ্গী সেতু, গাজীপুর বাস ডিপো, জয়দেবপুর বাস টার্মিনাল ও এয়ারপোর্ট বাস টার্মিনাল নির্মাণ।’
প্রকল্পের অগ্রগতি তুলে ধরে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘মাঠ জরিপ সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রাথমিক নকশা চূড়ান্ত করা হয়েছে। কার্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়েছে। শতভাগ সরকারি মালিকানাধীন ঢাকা বাস র্যাপিড ট্রান্সজিট কোম্পানি লিমিটেড (ঢাকা বিআরটি) গঠন করা হয়েছে। জুনের মধ্যে চূড়ান্ত নকশা প্রণয়ন করা হবে।’
গাজীপুর বাস ডিপোর চূড়ান্ত নকশা প্রণয়ন সম্পন্ন হয়েছে। দরপত্র আহ্বান করা হবে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে। ভূমি অধিগ্রহণ পরিকল্পনা ফেব্রুয়ারি মাসে সম্পন্ন হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
অপর মেগা প্রকল্প মেট্রোরেলের একটি দরপত্র আগামী ৩১ জানুয়ারি আহ্বান করা হবে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘এ দরপত্রের মাধ্যমে রোলিং স্টক (কোচ) সংগ্রহ করা হবে। চলতি বছর মেট্রোরেলের মোট আটটি দরপত্র আহ্বান করা হবে।’