ধামরাইয়ে স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর তিন দিন ধরে ধর্ষণ
ধামরাইয়ে এক ফার্নিচার ব্যবসায়ী এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে রেখে তিন ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার থানায় অভিযোগ দিয়েছে ওই স্কুলছাত্রী।
অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার সুয়াপুর-নান্নার উচ্চ বিদ্যালয়ের ডিসপ্লে দলের সদস্য ও সপ্তম শ্রেণির ওই স্কুলছাত্রী গত শুক্রবার বিকেলে বিদ্যালয়ে ডিসপ্লে শেষ করে বিকেলে বাড়ি ফিরছিল। এ সময় সুয়াপুর ইউনিয়নের শিয়ালকোল গ্রামের আবদুর রফিকের ছেলে সুয়াপুর বাজারের ফার্নিচার ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম একই ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য প্রভাত কুমারের বাড়ির কাছ থেকে আকস্মিক তার মুখ বেধে একটি কালো রঙের মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে তাকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। পরে সেখানে একটি বাড়িতে তার হাত-পা ও মুখ বেধে তিন দিন ধরে তাকে ধর্ষণ করে বখাটে সাইফুল। ঘটনার তিন দিন পর গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় মেয়েটি কৌশলে হাত-পায়ের বাধন খোলে ওই বাড়ি থেকে পালিয়ে এসে তার মা-বাবাকে অপরহরণ ও ধর্ষণের বিষয়টি জানায়।
এ ব্যাপারে ধর্ষিতা স্কুলছাত্রী জানায়, তার বাবা-মার সাথে সাইফুল ইসলামের ভাল সম্পর্ক থাকার কারণে তাদের বাড়িতে প্রায়ই আসা-যাওয়া করত সাইফুল। এ সুযোগে তাকে বিভিন্ন সময় কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল সে। কু-প্রস্তাবের কথা কাউকে জানালে তাকে ও তার বাবা-মাকে হত্যা করবে বলে হুমকি দেওয়ায় কাউকে কিছু বলতেও পারেনি সে(স্কুলছাত্রী)।
অপহরণের পর তাকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সে সর্ম্পকে মেয়েটি কিছু জানাতে না পারলেও মেয়েটি জানায়, তবে একটি পাকা ভবনে রেখে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বিষয়ে ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ ফিরোজ তালুকদার জানান, ধর্ষককে আটকের জন্য পুলিশি অভিযান চালানো হচ্ছে।