‘চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি পারলে আামাদের ঠেকাও’
উপমহাদেশীয় ভাষার চলচ্চিত্র প্রদর্শনী বন্ধে ১৯ জানুয়ারি থেকে আন্দোলন করছে ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ঐক্যজোট’।
আন্দোলনকারীদের কোনো সিনেমা চালাবে না বলে রবিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি। এ বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে বংলাদেশ চলচ্চিত্র ঐক্যজোট। মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ঐক্যজোট আয়েজিত এক সংবাদ সম্মেলনে চ্যালেঞ্জ ঘোষণা করেছে চলচ্চিত্র ঐক্যজোট।
ঐক্যজোটের নেতা পরিচালক সমিতির মহাসচিব মুশফিকুর রহমান গুলজার বলেন, ‘প্রদর্শক সমিতির কয়েকজন ব্যক্তি ঘোষণা দিয়েছেন সোহানুর রহমান সোহান, মুশফিকুর রহমান গুলজার, শাকিব খান, মিশা সওদাগরের চলচ্চিত্র হলে প্রদর্শন করবে না। আমরা চ্যলেঞ্জ দিচ্ছি পারলে আামাদের চলচ্চিত্র ঠেকাও।’
তিনি আরও বলেন, ‘স্বাধীনতার পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উপমহাদেশীয় ভাষার চলচ্চিত্র বাংলাদেশে আমদানি ও প্রদর্শন সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করেন। একটি কুচক্রি মহল গোপনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্তাব্যক্তিকে হাত করে বঙ্গবন্ধুর সেই নিষিদ্ধ করার অংশটি বাদ দিয়ে দেন। সঙ্গে সঙ্গে ইনউইন এন্টারপ্রাইজ ভারতের বাংলা চলচ্চিত্র জোর, বদলা ও সংগ্রামের এলসি খোলে। এরপর আবার আমদানি নিষিদ্ধ হবার পর একই এলসিতে তারা আরও নয়টি চলচ্চিত্র অন্তর্ভূক্ত করে। এগুলোর মধ্যে আছে ওয়ান্টেড, তারে জামিন পার, ডন টু ও থ্রি ইডিয়টস। আমাদের ধারণা তারা আইন মন্ত্রণালয়ের কাছে ছবিগুলো আমদানি সম্পর্কে সঠিক তথ্য গোপন করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রদর্শক সমিতি তাদের চলচ্চিত্র আমদানির যে আদালতের কপি দেখিয়েছে এটা একটা রুল নিশি, এটা কোনোভাবেই ওয়ান্টেড সিনেমা প্রদর্শনের অনুমতির আদেশ নয়।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সোহানুর রহমান সোহান, শাকিব খান, জায়েদ খান, মিশা সওদাগরসহ চলচ্চিত্র ঐক্যজোটের নেতা-কর্মীরা।
অন্যদিকে রবিবার বাংলাদেশ প্রদর্শক সমিতির সভাপতি সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘সরকারি নিয়ম ও আইন-কানুন মেনেই এ দেশে উপমহাদেশীয় ভাষার চলচ্চিত্র আমদানি করা হয়েছে। হাইকোর্ট ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়েরও এই বিষয়টিতে অনুমোদন রয়েছে। বাংলাদেশে মানসম্পন্ন চলচ্চিত্র নির্মিত হচ্ছে না বলে সিনেমা হলগুলোতে এখন আর দর্শক যাচ্ছে না। যার কারণে একের পর এক সিনেমা হল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় ও সিনেমা হলকে বাঁচিয়ে রাখার স্বার্থেই ভারত থেকে ছবি আমদানি করতে বাধ্য হয়েছি।’