রাষ্ট্রপতির ভাষণ প্রত্যাখ্যান করলেন এমপি!
দশম জাতীয় সংসদের পঞ্চম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির দেওয়া ভাষণকে প্রত্যাখ্যান করেছেন ঝিনাইদহ-২ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকী।
মঙ্গলবার দশম সংসদের পঞ্চম অধিবেশনে ‘রাষ্ট্রপতির ভাষণ সম্পর্কে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব’ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, ‘মহামান্য রাষ্ট্রপতির ভাষণে সরকারের শুধু সফলতা অর্জন ও ভবিষ্যত কর্ম পরিকল্পনাই প্রতিভাহ হয়েছে। এতে সরকারের ব্যর্থতা, বিফলতা বা ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ প্রতিফলিত হয়নি। বিবেক দ্বারা ত্বরিত হয়ে এই ভাষণ প্রত্যাখ্যান করতে বাধ্য হলাম।’
অর্থমন্ত্রীর সমালোচনা করে তাহজীব আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘বেসিক ব্যাংকের লুটতরাজকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে কী না? এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর কাছে জানতে চাইলে তিনি আমার প্রশ্নে উষ্মা প্রকাশ করেন। আমার ভাগ্য তিনি আমাকে গালমন্দ করেননি।’
তিনি বলেন, ‘আর্থিক খাতে ব্যক্তিখাতে বিনিয়োগের ধারাবাহিকতা স্থবিরতা বড় চ্যালেঞ্জ। জিডিপির ১৯ শতাংশের আশেপাশেই ঘোরাফেরা করছে। প্রবৃদ্ধির হারে বাজেটে ৭.৩ যে শতাংশ ধার্য করা হয়েছে তা অর্জন করতে হলে ব্যক্তিখাতে বিনিয়োগ অন্তত ২৪ শতাংশ হতে হবে।’
বাণিজ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য বলেন, ‘গত ৬ মাসে রপ্তানি প্রবৃদ্ধির যে ১০ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, সেটা অর্জিত হওয়া দুঃসাধ্য। দেশের পোশাক রপ্তানি কমেছে ৬.৮ শতাংশ। এটা উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার বিষয়। তবে এ বিষয়ে মনে হচ্ছে বাণিজমন্ত্রী নিরুদ্বেগ। অযাচিত বাহাস না করে বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে কৌশল নির্ধারণ করুন।’
তিনি বলেন, ‘প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে পূর্বে কথা বলে মন্ত্রীকে খুব চটিয়েছি। কিন্তু একটা প্রতিজ্ঞা করতে চাই, এর পরে প্রশ্নপত্র ফাঁস হলে আমি মন্ত্রীর ইস্তফা চাইবে। আমার বিশ্বাস আমি সফলও হবো।’
তিনি বলেন, ‘সারে, কীটনাশকে ভেজাল, ফসলে পঁচন এবং ন্যায্যমূল্যের অভাব কৃষকের কাছে শুনি। কাকে বিশ্বাস করবো?’
রাজনৈতিক সার্কেলে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সফলতা সমার্থক শব্দ হিসেবে পরিণত হয়েছে বলে দাবি করেন তাহজীব।
এ ছাড়াও তিস্তার পানি চুক্তি, ঢাকা শহরের চলাচলের অনুপোযোগিতা, ভুয়া ডাক্তারের বেড়ে চলা, মাদকের বিস্তার, বিটিভির ক্রমাগত লোকসান নিয়ে সংসদে প্রশ্ন তোলেন।