‘বন্দুকযুদ্ধে’ জামায়াত নেতা নিহত
রাজশাহীতে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ জামায়াত নেতা নুরুল ইসলাম মুন্সী নিহত হয়েছেন। নগরীর নলখোলা আশরাফের মোড়ে বুধবার রাত সোয়া ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কনস্টেবল মোজাফফর হোসেন (১০১২) ও গোলাম মোস্তফা (১৩০৫) আহত হয়েছেন। তাদের পুলিশ লাইনস হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ঘটনাস্থল থেকে ১০টি ককটেল, দুই রাউন্ড পিস্তলের গুলি, তিন রাউন্ড শটগানের গুলি ও একটি বিদেশী রিভলবার উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত নুরুল ইসলাম নগরীর ৩০ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের (পূর্ব) সেক্রেটারি এবং মতিহার থানা এলাকার ইসলামিয়া কলেজের অধ্যাপক ছিলেন।
মহানগর পুলিশের সদর দফতরে বুধবার দুপুর ১২টায় সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কমিশনার মো. শামসুদ্দিন এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, নিহত জামায়াত নেতা নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ১০ ডিসেম্বর মতিহার থানার বিনোদপুরে তৎকালীন ওসি আব্দুল মজিদের ওপর হামলাসহ বোয়ালিয়া ও মতিহার থানায় ১৩টি মামলা রয়েছে। এ ছাড়াও তিনি ওই দুই থানায় দায়ের করা ৮টি মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ইফতে খায়ের আলম জানান, মঙ্গলবার রাতে জামায়াত নেতা নুরুলকে আটকের পর তাকে সঙ্গে নিয়ে নলখোলা এলাকায় অভিযানে যায় পুলিশ। সেখানে পৌঁছলে আগে থেকে ওতপেতে থাকা জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর ককটেল হামলা ও গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় পালাতে গিয়ে নুরুল গুলিবিদ্ধ হন। তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে সেখান থেকে ককটেল, গুলি ও রিভলবার উদ্ধার করা হয়। এ সময় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কনস্টেবল মোজাফফর হোসেন ও গোলাম মোস্তফা আহত হন।
এদিকে নিহত নুরুল ইসলাম মুন্সীর স্ত্রী মাসুমা আখতার সাংবাদিকদের জানান, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে তার স্বামীকে নগরীর কাদিরগঞ্জ এলাকার পদ্মা অপসেট প্রেস থেকে সাদা পোশাকধারী পুলিশ আটক করে। তারা বিভিন্ন থানায় খোঁজ নিয়েও আটকের বিষয়টি নিশ্চিত না হতে পেরে গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে যান। সেখানে নুরুলকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলা হয়, বুধবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে।