মাজার নিয়ে দুই এমপির বিতণ্ডা
রাজধানী মিরপুরের শাহ আলী মাজার পরিচালনা কমিটি নিয়ে বিতণ্ডায় লিপ্ত হয়েছেন দুই সংসদ সদস্য (এমপি)।
জাতীয় সংসদ ভবনে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বুধবার বৈঠকে ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্য আসলামুল হক ও তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারীর বিতণ্ডা হয়।
এক পর্যায়ে কমিটি সভাপতি বজলুল হক হারুনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
আসলামকে উদ্দেশ্য করে কমিটি সভাপতি বজলুল হক হারুন বলেন, ‘এখানে সকলেই সংসদ সদস্য। সবার মর্যাদা সমান। আপনার কোনো বক্তব্য থাকলে শান্তভাবে বলেন। আমরা আপনার বক্তব্য শুনব।’ বৈঠক সূত্র জানায়, কমিটির আগের বৈঠকের সুপারিশ অনুযায়ী ওয়াকফ প্রশাসন মিরপুরের শাহ আলী মাজার পরিচালনা ও এর সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নজিবুল বশরকে আহ্বায়ক করে একটি কমিটি গঠন করে। ওই কমিটিতে স্থানীয় সহকারী কমিশনার (ভূমি), স্থানীয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, স্থানীয় সংসদ সদস্যের প্রতিনিধিসহ আরও অনেককে রাখা হয়েছে।
কিন্তু এ সিদ্ধান্তে নাখোশ হন স্থানীয় সংসদ সদস্য আসলামুল হক। তিনি এর আগে তিন-চার কমিটি বৈঠকে অংশ না নিলেও এই বৈঠকে অংশ নিয়ে এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন।
তিনি বলেন, ‘আমি ওই এলাকার এমপি। আমাকে না জানিয়ে এমন সিদ্ধান্ত কেন নেওয়া হল।’ এক পর্যায়ে তিনি কিছুটা উত্তেজিত হয়ে পড়েন এবং নজিবুল বশরকে কটাক্ষ করে বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন। তবে নজিবুল বশর আত্মপক্ষ সমর্থন করেন এবং বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর নজরে নেওয়ার কথা বলেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মাইজভাণ্ডারী বলেন, ‘আসলাম সাহেব মাজার কমিটির সভাপতি ছিলেন। এটা আদালত বাতিল করে দিয়েছে। তিনি এখন দাবী করছেন সুপ্রীম কোর্টে আপীল করেছেন। কিন্তু আপিল বিভাগ তো কোন স্থগিত আদেশ দেননি। এর আগে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক দিয়ে কমিটি করা হয়েছিল। তারা সেখানে যেতেই পারেননি।’
আসলামুল হক বলেন, ‘ওয়াকফ স্টেট আইনের কিছু বিষয় মাইজভাণ্ডারী সাহেব বুঝতে সময় নিয়েছেন। তেমন কিছু ঘটেনি। আমরা তো দু’জনেই সংসদ সদস্য। সবকিছুই ঠিক আছে।’
বৈঠকে আরও অংশ নেন এ কে এম এ আউয়াল (সাইদুর রহমান), মো. মকবুল হোসেন, মোহাম্মদ আমীর হোসেন এবং দিলারা বেগম। বিশেষ আমন্ত্রণে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমানও বৈঠকে অংশ নেন।