‘এসএসসি পরীক্ষার্থীদের হলে আনা-নেওয়া করবে পুলিশ’
এসএসসি পরীক্ষার্থীদের যৌথ নিরাপত্তা প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ। বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সমন্বয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী শিক্ষার্থীদের এসকর্ট করে পরীক্ষার হলে আনা-নেওয়া করবে এবং পরীক্ষার হলে সার্বিক নিরাপত্তা দেবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের আইজি এ কে এম শহীদুল হক।
পুলিশ সদর দফতরে শনিবার বেলা ১১টায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, এসএসসি পরীক্ষায় সার্বিক নিরাপত্তা দেবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও আনসার বাহিনী এসকর্ট করে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার হলে আনা নেওয়া করবে। তবে এক্ষেত্রে জনে জনে আনা নেওয়া করা সম্ভব হবে না। দলবদ্ধভাবে পরীক্ষার্থীদের আনা-নেওয়া করা হবে।
আসন্ন এসএসসি পরীক্ষায় সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি জনগণকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান শহীদুল হক।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, একজন বাবা ও সাধারণ নাগরিক হিসেবে ২০ দলীয় জোটের কাছে আমরা অনুরোধ করব কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দিকে তাকিয়ে অবরোধ-হরতাল প্রত্যাহার করুন। নাহলে অন্তত এসএসসি পরীক্ষা হরতাল-অবরোধমুক্ত রাখুন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, ৫ জানুয়ারীর সমাবেশ সরকারী দল আগে পরিকল্পনা করেছিল। হঠাৎ বিএনপি নেতেৃত্বাধীন ২০ দল সমাবেশের অনুমতি চায়। এ সময় সরকারী দল ও বিএনপির নেতাদের গণমাধ্যমে প্রকাশিত বক্তব্য দেখে পরিস্থিতি ঘোলাটে মনে হওয়ায় কাউকেই সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়নি। পরে আওয়ামী লীগ সমাবেশের অনুমতি চাইলে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছে। বিএনপি চাইলেও তাদেরকে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হত।
আইজিপি আরও বলেন, নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। তারা প্রতিদিন ১০০টি চোরাগুপ্তা হামলার পরিকল্পনা করে ২/১টি বাস্তবায়ন করছে। তবে শতভাগ নিরাপত্তা দেয়া পুলিশের পক্ষে সম্ভব নয়।
সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া বলেন, রাজধানীর প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রের নিরাপত্তা দেওয়া হবে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে শক্তহাতে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে। যরা নাশকতা করছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। ইতোমধ্যে জামায়াত ও শিবিরের একাধিক নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা বিভিন্ন সময় অবরোধের নাশকতায় সরাসরি অংশ নিয়েছে। এমনকি নাশকতার অর্থ যোগানদাতা হিসেবে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে।