স্বেচ্ছাসেবক দলের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অফিসের বিদ্যুত, ইন্টারনেট ও ডিস সংযোগ গভীর রাতে বিচ্ছিন্ন করা, চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলন ঠেকাতে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রীর হুমকি-ধামকি বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর বিয়াই, রাজাকারমন্ত্রী খ্যাত ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেনের বক্তব্য ও যৌথবাহিনী কর্তৃক গণগ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সাধারণ সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু ও সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল বারী বাবু।
শনিবার এসব নেতারা এক বিবৃতিতে বলেন, দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী খালেদা জিয়া পুত্রশোকে মোহ্যমান, যখন দেশে গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও মানবাধিকার রক্ষায় একটি তীব্র আন্দোলন চলমান, সরকার তখন নার্ভাস এমনকি দিশেহারা হয়ে পড়েছে। সরকার কোনও নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে হিংসাত্মক কার্য-কলাপে লিপ্ত।
স্বেচ্ছাসেবক দল সহ-দফর সম্পাদক মো. আক্তারুজ্জামান বাচ্চু স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে তারা বলেন, জাতিসংঘ যখন দেশে নির্বিচারে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের যৌথবাহিনী দিয়ে গণগ্রেফতার, নির্বিচারে গুলি, হত্যা , গুম, মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ ও স্বাভাবিক রাজনৈতিক কমর্কাণ্ড পরিচালনার সুযোগদান এবং সকল দলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে , সরকার তখন জাতিসংঘের আহ্বানকে তোয়াক্কা না করে বরং মন্ত্রী মোশারফ হোসেনের আগামীতে ২০০ আসনে বিনা প্রতিদ্ধন্ধিতায় নির্বাচন করার আস্ফালন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর অফিসের বিদ্যুত, ইন্টারনেট, ডিস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা নজিরবিহীন ও সরকারের নার্ভাসনেসেরই বহিঃপ্রকাশ।
জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার অফিসের বিদ্যুত, ইন্টারনেট, ডিস সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ, মন্ত্রী মোশারফ হোসেনের বক্তব্যের নিন্দা অবিলম্বে স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি হারুন-অর-রশীদসহ সকল রাজবন্দির মুক্তি, অবিলম্বে জাতিসংঘের আহ্বান অনুযায়ী সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের অনুমতি ও দ্রুত একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান জানিয়েছেন।