রূপনগরে শিবিরনেতা নিহত : পুলিশ বলছে বন্দুকযুদ্ধ, শিবিরের দাবি পরিকল্পিত হত্যা
রাজধানী মিরপুরের রূপনগরে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে এমদাদ উল্লাহ (১৮) নামে এক শিবিরনেতা নিহত হয়েছেন। শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনাকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করেছে ছাত্রশিবির।
এমদাদ উল্লাহ জামালপুর সদর উপজেলার বানিয়ারপাড় গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে। তিনি ছাত্রশিবিরের ঢাকা মহানগরী (পশ্চিম) শাহআলী থানার ৯৩নং ওয়ার্ড সভাপতি ছিলেন।
এমদাদ ঢাকা কলেজের পরিসংখ্যান বিভাগের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
রূপনগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আজিজুল হক দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘কিছুদিন আগে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ ওই শিবিরনেতাকে আটক করে। শনিবার রাতে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাকে নিয়ে থানা পুলিশ অভিযানে গেলে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা পুলিশের ওপর হামলা করে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে আটক শিবিরনেতা মারা যান।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনার পর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
এদিকে, শিবির নেতা এমদাদ উল্লাহকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল জব্বার ও সেক্রেটারি জেনারেল আতিকুর রহমান।
এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে গণমাধ্যমকে পাঠানো এক প্রতিবাদ বার্তায় শিবির সভাপতি ও সেক্রেটারি দাবি করেন, ‘কোনো অভিযোগ ছাড়াই গত শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজধানীর মিরপুরের ৬ নম্বরের বাসার সামনে থেকে মিরপুর থানা পুলিশ এমদাদ উল্লাহকে আটক করে নিয়ে যায়। পরে তাকে নিয়ে বিভিন্ন মেসে অভিযান চালিয়ে আরও ৯ জনকে আটক করে। কিন্তু অভিযানের নামে গভীর রাতে গুলি করে হত্যা করে দায় এড়াতে এমদাদের লাশ রুপনগর থানায় রেখে যায়। রুপনগর থানা পুলিশ তার লাশ ঢাকা মেডিকেলে রেখে চলে আসে। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড সরাসরি রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ছাড়া কিছু নয়।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘একের পর এক মেধাবী ছাত্র হত্যা করে সরকার নরঘাতকে পরিণত হয়েছে। এভাবে হত্যা করে অবৈধ সরকারের শেষ রক্ষা হবে না। বার বার মেধাবী ছাত্রদের এভাবে হত্যা করতে থাকলে জান-মাল রক্ষায় প্রতিরোধের সিদ্ধান্ত ছাড়া ছাত্রসমাজের আর কোনো পথ খোলা থাকবে না।’
অনতিবিলম্বে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে শিবির নেতা এমদাদ হত্যাকারী পুলিশ সদস্যদের গ্রেফতার ও বিচার দাবি করে আব্দুল জব্বার ও আতিকুর রহমান বিবৃতিতে বলেন, ‘অন্যথায় ছাত্রসমাজকে সঙ্গে নিয়ে ছাত্রশিবির কঠোর প্রতিরোধ আন্দোলন ঘোষণা করতে বাধ্য হবে।’