ঝিনাইদহে টানা অবরোধে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রি ও মাছ-মাংশের দাম আকাশছোয়া!!!
জাহিদুর রহমান, ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহ টানা অবরোধ ও বিভিন্ন জেলায় পর্যায়ক্রমে হরতালে বাজারে পণ্য সঙ্কট আরও বেড়েছে। এ কারণে চাল, ভোজ্যতেল, সবজি এবং মাছ মাংশের বাজারও অনেক চড়া হয়েছে। বিশেষ করে বাইরে থেকে ট্রাক বেশি আসতে না পারায় পাইকারি বাজারে চালের দাম বস্তাপ্রতি ১০০ এবং খুচরা বাজারে কেজিপ্রতি বেড়েছে ২-৩ টাকা। এছাড়া চিনি, ডাল, আদা, রসুন, পিঁয়াজ এবং মসলাজাতীয় অন্যান্য পণ্যের দামও বেড়েছে।চালের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের তুলনায় চালের সরবরাহ কমেছে। চাল ব্যবসায়ীরা জানান, টানা অবরোধের কারণে দুরের এলাকা থেকে বেশি চাল আসতে পারছে না। আবার মিলমালিকরাও চাল উত্পাদন কমিয়ে দিয়েছেন। কারণ চাতালগুলোতে চালের মজুদ বেড়ে গেছে। ঝিনাইদহ পাইকারি বাজারের চাল বিক্রেতারা জানান, আমার দোকানে চালের মজুদ এখন চারভাগের একভাগ রয়েছে। একই অবস্থা এখানকার প্রায় সব ব্যবসায়ীর। আর ঝিনাইদহে বাইরে থেকে চাল আসতে না পারায় পাইকারি বাজারে বস্তাপ্রতি দাম বেড়েছে ৮০-১০০ টাকা। বিআর-২৮ চালের ৫০ কেজি ওজনের এক বস্তার গত সপ্তাহে দাম ছিল ১৭৫০০ টাকা। এখন হয়েছে ২ হাজার ১০০ টাকা। এভাবে মিনিকেট, নাজিরশাইল, স্বর্ণাও দাম বেড়েছে।পাইকারি বাজারে দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারেও। খুচরা বাজারে প্রতিকেজি ভালোমানের নাজিরশাইল ২ টাকা বেড়ে ৫৮, মিনিকেট ৫৪, লতা আটাশ ৩৮-৪০, জিরা নাজির ৫৫, আটাশ ৪২, পাইজাম ৪০, পারিজা ৩৮, বিআর-২৮ ৪০-৪৩, বিআর-২৯ ৪২, হাসকি ৪০, স্বর্ণা ৩৬-৩৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।সবজির দামও বেড়েছে আকাশছোয়া । বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিকেজি শিম ৫ টাকা বেড়ে ১৫, কাঁচা মরিচ ৫০, বেগুন ৩০, টমেটো ২৫-৩০, শসা ৩০, মুলা ১০, নতুন আলু ২০-২৫, গাজর ২৫-৩০, নতুন করলা ১০০, পুরনো করলা ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি পিস মাঝারি সাইজের ফুলকপি ২০-২৫, বাঁধাকপি ২০-২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।মুদি দোকানে চায়না বড় রসুন ১১০, দেশি রসুন ১০০, চায়না আদা ১২০, ইন্দোনেশিয়ান আদা ১১০, আটা (প্যাকেট) ৩৭, ময়দা (প্যাকেট) ৪৫, দেশি মসুর ডাল ১২০, ভারতীয় মসুর ডাল ৯০, খেসারি ৪৫, খোলা চিনি ৪৬, প্যাকেট চিনি ৫০ ও প্রতিলিটার খোলা সয়াবিন তেল ১১০ ও বোতলজাত সয়াবিন তেল ১১৫-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিকেজি পাঙ্গাশ ১১০-১৮০, সিলভার কার্প ১২০-১৩০, বাটা মাছ ২০০-২৬০, মাঝারি তেলাপিয়া ১৬০-১৮০, চাষের কৈ ২৪০-২৮০, রুই ২৪০-২৬০, কাতল ২৫০-৩৫০, পোয়া ৪৫০-৫০০, মলা ৪০০-৪৫০, পাবদা ৫০০-৬৫০, চিংড়ি ৫৫০-৭০০, শিং ৫০০-৬৫০, দেশি মাগুর ৭০০-৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি আকারের প্রতি জোড়া ইলিশ ১০০০-১৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।তারপরে খাসির মাংশ প্রতি কেজি ৪৫০-৫০০,গরুর মাংশ ৩০০-৩৫০ দরে বেচাকেনা চলছে, যা সাধারন জনগনের ক্রয় হ্মমতার বাইরে।