ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রতিনিধি দল : বাংলাদেশ সরকারের সাক্ষাৎ নাও পেতে পারে
মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের চলমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের মানবাধিকার সংক্রান্ত উপ-কমিটির চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ আসছে। তবে এই সফরে বাংলাদেশ সরকারের সাক্ষাৎ নাও পেতে পারে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রতিনিধি দলটি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, ইউরোপীয় পার্লামেন্ট থেকে বাংলাদেশ সরকারকে জানানো হয়েছে যে, তাদের মানবাধিকার সংক্রান্ত উপ-কমিটির চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করবে। প্রতিনিধি দলটি প্রধানমন্ত্রী, সরকারের সিনিয়র মন্ত্রী, সিনিয়র রাজনীতিক, সুশীল সমাজসহ বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, ইউরোপীয় পার্লামেন্ট যখন বাংলাদেশ সফর করবে তখন সরকারের প্রতিনিধিরা রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যস্ত থাকবেন। ওই সময়ে ২১ ফেব্রুয়ারি উদযাপন, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ঢাকা সফরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যস্ত থাকবেন সরকারের প্রতিনিধিরা। তাই ওই সময়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সফরকারী প্রতিনিধি দলটিকে সরকারের পক্ষ থেকে সময় দেওয়া সম্ভব হবে না।
এদিকে, ঢাকায় অবস্থিত ইউরোপীয় ইউনিয়নের মিশন থেকে গত শনিবার রাতে জানানো হয়, বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের একটি প্রতিনিধি দল ফেব্রুয়ারিতে আসার কথা রয়েছে। তবে তাদের সফরসূচির সবকিছু এখনো চূড়ান্ত হয়নি। চূড়ান্ত হলেই তা গণমাধ্যমকে জানানো হবে।
কূটনীতিক সূত্রে জানা গেছে, মূলত ইউরোপীয় পার্লামেন্টের দলটি বাংলাদেশর রাজনৈতিক অধিকারের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করতে আসছেন। পাশাপাশি দলটি মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, শ্রম অধিকার এবং সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের মানবাধিকার সংক্রান্ত উপ-কমিটির চেয়ারম্যান ইলিনা ভেলেন্সিয়ানো চার সদস্যের দলটির নেতৃত্ব দিবেন। বাকিরা হচ্ছেন— ক্যারোল কারস্কী, ক্রিস্টিয়ান ড্যান প্রিদা এবং জোসেফ ওয়াইডেনজার।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের দলটি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, বিভিন্ন দলের জ্যেষ্ঠ রাজনীতিক, ব্যবসায়ী নেতা এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।