সহিংসতার দ্রুত সমাধান চান বিদেশি ক্রেতারা
হরতাল-অবরোধ ও বিরাজমান রাজনৈতিক সহিংসতার দ্রুত সমাধান চেয়েছেন বিদেশি ক্রেতারা। রানা প্লাজা ধস ও তাজরিন ফ্যাশন কারখানার অগ্নিদুর্ঘটনায় তৈরি হওয়া ইমেজ সংকট কাটিয়ে ওঠার পর নতুন বছরের শুরুতেই রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতাকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ হিসেবে উল্লেখ করে এ পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হওয়া প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তারা। তা না হলে দীর্ঘমেয়াদী ইমেজ সংকটে বাংলাদেশের সব সম্ভাবনা নস্যাৎ হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন তৈরি পোশাক শিল্পের বিদেশী ক্রেতারা।
ঢাকায় কর্মরত বিশ্বের ৬৫ ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা সোমবার হোটেল ওয়েস্টিনে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এসব কথা জানান।
তবে বৈঠক শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফয়েল আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ক্রেতারা বলেছেন ধীরে ধীরে আজকের অবস্থানে এসেছে বাংলাদেশ। অনেক সম্ভাবনা রয়েছে এ দেশের। এ সম্ভাবনা যেন কোনভাবে নষ্ট না হয়। পোশাকের সরবরাহ চেইন যেন স্বাভাবিক থাকে, সে বিষয়ে বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনুরোধ করেছেন ক্রেতারা।
বাণিজ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ক্রেতা প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন তাদের হেডকোয়ার্টার থেকে সর্বশেষ অবস্থা জানতে চাওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে সরবরাহ চেইন এবং ভবিষ্যতে যাতে সরবরাহ ব্যবস্থায় ধারাবাহিকতা বিনষ্ট না হয় সে বিষয়ে নিশ্চয়তা চেয়েছেন ক্রেতারা। আমি বলেছি শিগগিরই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
বিজিএমইএ সভাপতি আতিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, রাজনীতিবিদরা রাজনীতি করবেন কিন্তু পোশাক শিল্প এবং অর্থনীতিকে জিম্মি করে নয়। ক্রেতারা বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদী অংশীদার। তারা এদেশ ছেড়ে যেতে চান না। তবে শ্রীলঙ্কার মত পরিস্থিতি হলে কারো কিছু করার থাকবে না। ক্রেতারা পোশাক খাতের সরবরাহ চেইন নির্বিঘ্ন রাখতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পরিবহনের নিরাপত্তার কথা বলেছেন। বিজিএমইএ সভাপতি হিসেবে আমি বলতে চাই, এসব কথাগুলো ক্রেতাদের বলার কথা ছিল না। এ ধরনের পরিস্থিতি রাজনীতিবিদরা তৈরি করবেন কেন।’
বৈঠকে ক্রেতাদের প্রধান বক্তব্য কী ছিল- এমন প্রশ্ন করলে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, তারা উদ্বিগ্ন জ্বালাও পোড়াও, ঝলসানো দেহ দেখে। বিদেশে তাদের হেডকোর্য়াটার থেকে উদ্বেগ জানানো হয়েছে। ক্রেতা প্রতিনিধিদের অন্য দেশের সঙ্গেও মিটিং করতে বলেছেন।