চৌদ্দগ্রামে বাসে পেট্রোলবোমায় নিহত ৭, আশঙ্কাজনক ২
জেলার চৌদ্দগ্রামে আইকন নামে যাত্রীবাহী একটি বাসে দুর্বৃত্তদের পেট্রোলবোমা হামলায় সাত যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় দগ্ধ হয়েছেন ২০ যাত্রী। তাদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের জগমোহনপুরে সোমবার রাত সাড়ে ৩টায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সাত যাত্রী হলেন- যশোর সদর উপজেলার নুরুজ্জামান পপলু (৫০), তার মেয়ে মাইশা (১৫), কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের পহরচাদা গ্রামের মোহাম্মদ ইউসুফ (৪০), আবু তাহের (৩৮) ও গোবিন্দপুর গ্রামের মোহাম্মদ বাদশা, নরসিংদীর পলাশ উপজেলার আসমা বেগম (৪০) ও তার ছেলে শান্ত (১০)।
ওই ঘটনায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি হওয়া দগ্ধরা হলেন- কক্সবাজার জেলার চকরিয়ার কাঁচামাল ব্যবসায়ী মো. হানিফ (৩৫), তার ভাতিজা রাশিদুল ইসলাম (১৭), নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের পপকর্ন বিক্রেতা শফিকুল (১৮), ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার কৃষক মো. আরিফ, মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরের জিলকদ আহমেদ (১৮) ও ফারুক (২৩)।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. হাবীব আব্দুল্লাহ সোহেল জানান, অগ্নিদগ্ধ ১১ জনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে চকরিয়ার রাশেদুল ইসলাম ও হানিফের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের আবাসিক চিকিৎসক পার্থ শঙ্কর পাল দ্য রিপোর্টকে জানান, রাশেদুল ইসলামের অবস্থা খুবই গুরুতর। তার শরীরের ৮০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হচ্ছে।
– See more at: http://www.thereport24.com/article/85559/index.html#sthash.yHm7aqlQ.dpufকুমিল্লার পুলিশ সুপার (এসপি) টুটুল চক্রবর্তী জানান, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে নিহতদের স্বজনরা প্রাথমিকভাবে লাশ শনাক্ত করেছেন। ওই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।
স্থানীয়রা জানান, কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী আইকন পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো ব ১৪-৪০৮০) যাত্রীবাহী বাসটি ওই স্থানে আসলে দুর্বৃত্তরা পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে। মুহূর্তের মধ্যে বাসটিতে আগুন ধরে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
বাসের কয়েক যাত্রী জানালা দিয়ে লাফিয়ে প্রাণে বাঁচলেও ততক্ষণে দগ্ধ হয়ে মারা যান সাতজন। দগ্ধ হন অন্তত ২০ যাত্রী।
মিয়ারবাজার মহাসড়ক ফাঁড়ির ইনচার্জ নাজিম উদ্দিন জানান, ওই ঘটনায় সাতজন নিহত ও অন্তত ২০ জন দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধদের প্রথমে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উত্তম কুমার চক্রবর্তী জানান, সাতজন নিহত হলেও এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।