প্রতারিত হ্যাপীকে বিয়ে করতে চায় শওকত
রুবেল-হ্যাপীর প্রেমকাহিনী এখন সবার জানা। এরপরের ঘটনাও জানে সবাই। রুবেলের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের একদিন পরই হ্যাপী বলেছিলেন ভুল বুঝে ক্ষমা চাইলে রুবেলকে বিয়ে করতে রাজি আছেন তিনি। তবে এর একদিন পরই নিজের অবস্থান থেকে সরে আসেন তিনি। এই মুহুর্তের হ্যাপী কাকে বিয়ে করবেন কি করবেন না, সেটা জানা না গেলেও যেকোনো অবস্থায় হ্যাপীকে বিয়ে করতে রাজী আছেন চাঁদপুরের যুবক গাজী মাজহারুল ইসলাম শওকত।
এই সিদ্ধান্ত তিনি আজকেই নিয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।
কেন হ্যাপীকে বিয়ে করতে চান, এই প্রশ্নের জবাবে শওকত বলেন, ২০১৪ সালে হ্যাপী অভিনীত ‘কিছু আশা কিছু ভালোবাসা’ ছবিটি দেখার পরই হ্যাপীর প্রেমে পড়ে যাই। সেই থেকেই হ্যাপীকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতাম। তাই নিজের ভালোবাসার মানুষটির দুর্দিনের তাকে সাপোর্ট দিতে চাই।
হ্যাপীর সাথে রুবেলের প্রেম শারিরীক সম্পর্ক পর্যন্ত গড়িয়েছিল এমন প্রসঙ্গ উত্থাপন করতেই শওকত বলেন, হ্যাপীর অতীত জীবন সম্পর্কে সবই জানি আমি। সেসব আমার প্রেমের ক্ষেত্রে কোনো বাধা নয়। যেকোনো অবস্থায় হ্যাপীকে বিয়ে করতে রাজি আছি আমি। এমনকি হ্যাপি তাকে যেভাবে গ্রহণ করতে চাইবেন, তিনি সেভাবেই রাজি আছেন বলেও জানালেন তিনি।
তার এ ভালোবাসার কথা হ্যাপী জানে কিনা জানতে চাইলে শওকত বলেন, হ্যাপির সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের কোনো মাধ্যম তার কাছে নেই বলেই গণমাধ্যমের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।
শওকত প্রশ্ন রেখে বলেন, কেন হ্যাপি অসহায়ের মত থাকবেন? তিনিও তো একজন মানুষ। তারও স্বাধীনভাবে বাঁচার অধিকার রয়েছে। কেন সবাই তাকে অবহেলা-অবজ্ঞা করবে?
নিজেকে একজন ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী ব্যবসায়ী বলে দাবি করেছে সে।
উল্লেখ্য, জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মিরপুর থানায় মামলা দায়ের করেছিলেন নাজনীন আক্তার হ্যাপি। বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্ক করার অভিযোগে নিজে বাদী হয়ে গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর মিরপুর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলাটি করেন তিনি।