দরজা আটকে কনস্টেবলকে মারধর, গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রত্যাহার
দরজা আটকে এক পুলিশ কনস্টেবলকে মারধর করেছেন গাজীপুর ইনসার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান। এ ঘটনায় তাকে পুলিশ হেডকোয়ার্টারে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
আহত কনস্টেবল মো. রেজওয়ান কবির (২৬) পুলিশ অফিসের চিঠি বিতরণ শাখায় কাজ করেন। তার গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরের বিরল উপজেলায়। হামলায় তিনি অণ্ডকোষ, তলপেট, বুক ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পান। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
এ নিয়ে গাজীপুরের পুলিশ কনস্টেবলদের মাঝে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি ও পুলিশ প্রশাসনে তোলপাড় হয়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত কনস্টেবল রেজওয়ান কবির বলেন, ‘একটি চিঠি রিসিভ করার ঘটনাকে ঘিরে বুধবার সন্ধ্যায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান তার অফিসে আমাকে প্রথমে গালিগালাজ করেন এবং চাকরিচ্যুতির হুমকি দেন। পরে অফিসের দরজা বন্ধ করে কিল, ঘুষি ও লাথিসহ এলোপাথারি মারধোর করেন।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান কনস্টেবলকে মারধরের ঘটনা অস্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ ধরণের কোনো ঘটনা ঘটেনি।’
গাজীপুরের শহীদ তাজ উদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক আব্দুস সালাম সরকার জানান, ‘পুলিশ কনস্টেবল রেজওয়ানকে বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অণ্ডকোষ, তলপেট, বুক ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন রয়েছে।’
গাজীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) হারুন অর রশিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘আহত কনস্টেবলকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া কনস্টেবলকে মারধোর করায় মিজানুর রহমানকে গাজীপুর থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশের হেড কোয়ার্টারে সংযুক্ত করা হয়েছে।
এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ সোলায়মানকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।