‘বিএনপির লোকেরা জানাজায় আসে, রাস্তায় নামে না’
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, কোকোর জানাজায় প্রচুর লোক হয়েছিল। এতে প্রমাণ হয় বিএনপির জনসমর্থন আছে। কিন্তু তাদের কর্মসূচির জন্য বিএনপির লোকেরা একজনও রাস্তায় নামে না।
হত্যা, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বরে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ ঢাকা মহানগর উত্তর এ সমাবেশের আয়োজন করে।
সমাবেশে তিনি বলেন, তারা রাস্তায় নামবে কেন? হরতাল-অবরোধ দিয়ে বিএনপি ও ২০ দলের নেতারা গাড়িতে ঘুরে বেড়ায়। হরতালের দিনে রাস্তায় রিয়াজ রহমানের গাড়ির ওপর হামলা এ কথাই প্রমাণ করে।
এ প্রসঙ্গে বেগম খালেদা জিয়াকে ইঙ্গিত করে তিনি আরও বলেন, আপনার নেতারা হরতালের দিনে গাড়ি চড়ে ঘুরে বেড়াবে আর রাস্তায় আসার জন্য নিরীহ জনগণকে পেট্রোলবোমা দিয়ে মারবেন, তা হয় না। দেশের মানুষ আপনার সন্ত্রাসী মনোবৃত্তিকে পছন্দ করে না। পেট্রোলবোমা দিয়ে মানুষ মেরে কোনো লাভ হবে না। রাজনীতির নামে সন্ত্রাসী কাজে জড়িত হয়ে তালেবান, আলকায়দা ও এলটিটিআই সবাই নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। কোনো রাজনৈতিক দল মানুষ হত্যার কর্মসূচি দিতে পারে না। সন্ত্রাসী দলেও পরিণত হতে পারে না। বিএনপি ও ২০ দলকে আমরা রাজনৈতিক দল ভেবেছিলাম। আমাদের ধারণা ছিল কর্মসূচির নামে তারা মানুষ মারবে না। কিন্তু আমাদের সে আশা ও ধারণা ছিল ভুল। তাই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার ব্যাপারে আমাদের দেওয়া বক্তব্য অনেক ক্ষেত্রে খাটেনি।
খালেদার উদ্দেশ্য মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, হত্যা ও সন্ত্রাসের পথে দাবি আদায় হবে না। হত্যা ও সন্ত্রাসের কারণে আপনাকেও এলটিটিআইর ভাগ্য বরণ করতে হবে। সন্ত্রাসী কাজ বেশীদিন চলতে পারে না। খুব শিগগিরই সন্ত্রাস দমন হবে। শেখ হাসিনার সরকার দক্ষ সরকার। এই সরকার যেমন উন্নয়ন করতে জানে, তেমনই সন্ত্রাস দমনও করতে পারে। হরতাল-অবরোধের নামে সন্ত্রাসের কারণে বিএনপি জামায়াতসহ ২০ দলকে জঙ্গি দল হিসেবে ঘোষণা করা হবে এবং এটি এখন সময়ের ব্যাপার। তাদের জঙ্গি দল হিসেবে পেট্রোলবোমার আগুনে মানুষ মারার মাসুল দিতে হবে।
হানিফ আরও বলেন, সন্ত্রাসীরা কখনো বেশীদিন টিকতে পারে না। ইতোমধ্যে গণধোলাই শুরু হয়ে গেছে। জনগণ সচেতন হয়ে রাস্তায় বেরিয়ে এলে আর কোনো শঙ্কা থাকবে না। এসএসসি পরীক্ষা বন্ধ ও হরতাল অবরোধের কারণে বেগম খালেদা জিয়াকে জনগণের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। হরতাল-অবরোধের সহিংসতা দমাতে কঠোর আইন আছে এবং আরও কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থেকে কিছুই দিতে পারেনি। আর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় শামিল হয়ে জাতি নতুন স্বপ্ন দেখেতে শুরু করেছে। দেশ ও দেশের মানুষ সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে খালেদা জিয়ার দিকে আর কখনই দেশের মানুষ তাকাবে না। এসব কথা ভেবে সহ্য করতে না পেরে বেগম খালেদা জিয়া দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্র বানানোর ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠে। এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে হরতাল-অবরোধের নামে পেট্রোলবোমার আগুনে মানুষ মারাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট মোল্লা মো. আবু কাওছার ও সাধারণ সম্পাদক পংকজ দেবনাথ এমপি। আরও বক্তব্য দেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আজিজুর রহমান বাচ্চু, মতিউর রহমান, মিজানুর রহমান প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মোবাশ্বের হোসেন চৌধুরী।