মাত্র ৪১ জনকে নিয়ে বাঁশি বাজালেন ৫ মন্ত্রী
মাত্র ৪১ জনকে সঙ্গে নিয়ে বাঁশি বাজিয়ে হরতাল-অবরোধের প্রতিবাদ জানালেন সরকারের পাঁচ মন্ত্রী।
সচিবালয়ের সামনে বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় এক মানববন্ধনে দুই মিনিট বাঁশি বাজিয়ে এই প্রতিবাদ জানানো হয়।
নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের আহ্বানে এতে উপস্থিত ছিলেন- তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান।
শ্রমিক-কর্মচারী-পেশাজীবি-মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদের ব্যানারে হরতাল-অবরোধবিরোধী মানববন্ধনে পাঁচ মন্ত্রীর পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন মাত্র ৪১ জন।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের লাগাতার হরতাল-অবরোধের প্রতিবাদ জানাতে ৩০ জানুয়ারি এক অনুষ্ঠানে নৌমন্ত্রী শাজাহান খান এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি সফল করতে এদিন দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটের দিকে মন্ত্রী শাজাহান খানের নেতৃত্বে প্রথমে ওসমানী মিলনায়তের সামনে মানববন্ধন শুরু হয়। এ সময় উপস্থিতি ছিল ৪১ জন। এর পর একে একে ওই পাঁচ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী যোগ দেন কর্মসূচিতে।
সরেজমিন দেখা যায়, দুপুর ১টা বাজার সঙ্গে সঙ্গেই মন্ত্রীরা বাঁশি বাজিয়ে হরতাল-অবরোধের প্রতিবাদ জানান। মাত্র দুই মিনিট ধরে চলা এ কর্মসূচিতে সবার হাতে বাঁশি ছিল না।
দেখা যায়, এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীদের চেয়ে মিডিয়াকর্মী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও উৎসুক মানুষের ভিড় ছিল বেশি। অংশগ্রহণকারীরা তিনটি ব্যানার নিয়ে মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন। কিন্তু অংশগ্রহণকারী কম হওয়ায় ব্যানারের সবটুকুও পূরণ হয়নি।
কর্মসূচি চলাকালে দেখা গেছে, উপস্থিত মন্ত্রীদের গাড়িসহ সচিবালয়ের সামনে থাকা বেশ কয়েকটি গাড়িতে হর্ন বাজানো হয়। তবে রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী গাড়িচালকরা হর্ন না বাজানোর কারণে কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী কয়েকজন তাদের হর্ন বাজানোর আহ্বান জানান।
মন্ত্রীদের পেছনে কয়েকজনের জটলা থাকলেও পশ্চিম পাশ ছিল প্রায় ফাঁকা
আয়োজক সংগঠনের দুই সদস্য সচিব আব্দুল মালেক মিয়া ও কামরুল আনামের পরিচালনায় মানববন্ধনে উপস্থিত ৪১ জনের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন এমএলএসএস ও শাজাহান খানের এলাকার কয়েকজন রাজনৈতিক নেতাও উপস্থিত ছিলেন।
উপস্থিতিদের মধ্যে মাদারীপুর জেলা মহিলা লীগের সভাপতি নার্গিস সুলতানা বলেন, ‘মন্ত্রী মহোদয়ের ডাকে সাড়া দিয়ে কর্মসূচিতে এসেছি।’
অংশগ্রহণকারীদের আরেকজন নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আলী আকবর বলেন, ‘সচিবালয়ে এসেছিলাম। তাই এখানেও যোগ দিলাম।’