বগুড়ায় ট্রাকে পেট্রোলবোমা, নিহত পান ব্যবসায়ীর বাড়িতে শোকের মাতম
বগুড়ায় পানবোঝাই একটি ট্রাকে পেট্রোলবোমা হামলায় দগ্ধ হয়ে মারা যান শিবগঞ্জ উপজেলার বন্তেঘরী এলাকার আফজাল হোসেন সরকারের ছেলে পান ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম সরকার।
নিহতের লাশ বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রামের বাড়িতে আনা হয়। এ সময় শহিদুলের স্ত্রী, সন্তানসহ আত্মীয়-স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাদের আহাজারিতে এলাকার বাতাস ভারি হয়ে ওঠে।
স্বামীর মৃত্যুতে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী সাবিনা শোকে বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন। তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা খুঁজে পাচ্ছেন না স্বজনরা। আর ছয় বছরের শিশুপুত্র সামিউল ইসলাম অবাক চোখে বাবার নিথর দেহের দিকে তাকিয়ে থাকে। কেন বাবা তাকে আদর করছে না— এ প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে চোখের জল মুছেন অনেকে।
শহিদুল ইসলামের লাশ বৃহস্পতিবার বিকেলে গ্রামের বাড়িতে আনা হয়। এ সময় সেখানে ছুটে আসেন শিবগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রবিউল ইসলাম, উপজেলার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বিউটি বেগম, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আজিজুল হক, পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান মতিন, পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শামসুল ইসলাম প্রমুখ।
তারা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে বলে নিহতের পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেন। কিন্তু এ সান্ত্বনায় আশ্বস্ত হতে পারছেন তারা। স্বজনদের প্রশ্ন, আর কত লাশ পড়লে চলমান পরিস্থিতি শান্ত হবে? রাত ৮টায় জানাজা শেষে শহিদুল ইসলামকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে রংপুর থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী পানবোঝাই একটি ট্রাকে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা। এতে ট্রাকের সামনের অংশে আগুন ধরে যায়। আগুনে দগ্ধ হয়ে পান ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম মারা যান।
এ ছাড়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে মারা যান ট্রাকের হেলপার ইমরান হোসেন। ওই ঘটনায় ট্রাকের চালক পলাশ লস্কর ও অপর পান ব্যবসায়ী মামুনুর রশিদও দগ্ধ হন। মামুনুর রশিদকে পরে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়।